জ্যাকলিনের পর নোরা, সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় পাঁচঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ দিল্লি পুলিশের
কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি কাণ্ডে বুধবারই দিল্লি পুলিশের আর্থিক তছরূপ শাখা আট ঘণ্টার ওপর জিজ্ঞাসাবাদ করে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। এই একই কাণ্ডে এবার নোরা ফতেহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইকোনমিক অফেন্স উইঙ্গ।
অভিনেত্রীকে পাঁচঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সহযোগী পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নোরাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ও নোরাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এই পিঙ্কি ইরানি। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোরাকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর নোরা ফতেহিকে আটঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সেই সময় তাঁকে ৫০টি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। অপরাধ ও আর্থিক তছরূপ শাখার স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ রবীন্দ্র যাদব জানান যে যদিও অভিনেত্রী তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন, তবে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, 'অভিনেত্রী তদন্তে সহযোগিতা করলেও কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি তাই হয়ত আবার তাঁকে ডাকতে হতে পারে। আমরা এই মামলার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা দেখছি। যাঁরা উপহার পেয়েছেন, তাঁরা এখনও অজ্ঞ (অপরাধী ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে) নাকি প্রকৃত অপরাধে জড়িত, তাঁদের তদন্ত চলছে।'
বুধবারই পিঙ্কি ইরানি ও জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে মুখোমুখি বসিয়ে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবার ফের পিঙ্কি ইরানিকে তলব পাঠায় আর্থিক তছরূপ শাখা। জ্যাকলিনকেও এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের কী সম্পর্ক ছিল ও তার থেকে অভিনেত্রী কি উপহার পেয়েছেন, তারা কতবার দেখা করেছে বা ফোনে সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের কতবার যোগাযোগ হয়েছে এ সংক্রান্ত ১০০টি প্রশ্ন তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। নোরা এবং জ্যাকলিন দু'জনেই সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে উপহার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইডি ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপ মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়েছে। ইডি জানিয়েছে যে ড্যাকলিন সুকেশের অপরাধ সম্পর্কে সবই জানত। অন্যদিকে জ্যাকলিনের বক্তব্য তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, সুকেশকে তিনি চিনতেন না।
পর্দায় আর অশালীন ভাষার প্রয়োগ নয়! পণ নিলেন বলিউডের কালীন ভাইয়া