
মোদীর বিকল্প মুখ কে, ২০২৪-এর লোকসভায়, প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে অকপটে যা বললেন মমতা
জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ কে? বিরোধীদের মধ্যে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে এই বিতর্ক। পাল্টা খোঁচাও খেতে হয়েছে এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে। ২০২৪-এর মহারণ যখন ক্রমশ এগিয়ে আসছে ফের সেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে। এবার অনিবার্য সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন।

২০২৪-এ কি মমতা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?
সম্প্রতি প্রথম শ্রেণির সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারভিত্তিক এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল, ২০২৪-এ কি আপনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সেই প্রশ্নের অকপট জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন তাঁর মনের কথা।

বড় পদের জন্যও আগ্রহী নন মমতা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি কোনও পদেই আগ্রহী নই। আমি পদের জন্য কিছু করি না। আমরা আত্মত্যাগ করি, দেশের উন্নতির জন্য কাজ করি। আমরা মহিলারা, কৃষকরা, শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করি। আমার বড় হওয়ার সাধ নেই। আমি বড় পদের জন্যও আগ্রহী নই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান বিরোধী মুখ!
২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা হারানোর পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যাগ লাইনে প্রচার হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান বিরোধী মুখ, তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার সরব হয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি নিজেকে তুলে ধরছেন প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসেবে।

দেশের স্বার্থেই বড় পদের জন্য আগ্রহী নন
জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে ঘিরে যখন আগ্রহ তুঙ্গে, তখন তিনি মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন। তাঁকে ঘিরেই এখন জাতীয় স্তরের বিরোধী রাজনীতি আন্দোলিত হচ্ছে। সেই তিনি অবশ্য নিজে মুখে বলছে, আমার কাছে পদ বড় নয়, সবার আগে দেশ। আমার কাছে আমাদের কাছে বরাবর সবার আগে গুরুত্ব পেয়ে এসেছে দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই তিনি বড় পদের জন্য আগ্রহী নন।

বিজেপিকে হঠাতে গেলে কংগ্রেসকে প্রয়োজন, তবু...
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহ নেই বলে সাফ কথা বলে দিয়েছেন। তারপরও তিনি তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও। কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হঠাতে গেলে কংগ্রেসকে প্রয়োজন সেটা কে না জানে। কিন্তু তারপরও তিনি কংগ্রেস বিরোধী বা সোনিয়া-রাহুলের সমালোচনা থেকে পিছু হটলেন না।

কেন কংগ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গে আসন দেব?
মমতার সাফ কথা, এক কংগ্রেস কংগ্রেস কেন করছেন। অন্য দল নিয়ে কোনও কথা বলব না। ওরা সিপিএম-বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ওদের আসন ছাড়ব না। কেন কংগ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গে আসন দেব? ওরা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। গত ১০ বছর ধরে ওরা তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। তাই ওদের আসন ছাড়ার প্রশ্নই নেই বাংলায়।