স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকাতা-শহরতিলতে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন? জানুন বিস্তারিত তথ্য
অবশেষে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজ্য। এদিকে পূর্ব রেলও জানিয়ে দিল, রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু করতে প্রস্তুত। রাজ্য-রেল বৈঠকের আগেই চিঠি দিয়ে নবান্নকে জানাল রেল। গত কয়েক দিন ধরেই লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে দাবি উঠতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষিতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সুপার ক্যাবিনেট', যেভাবে বাংলা চালাচ্ছেন ৪ অবসরপ্রাপ্ত আমলা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বন্ধ হয় লোকাল ট্রেন
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মার্চ মাসের শেষে দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। সেই সময় থেকেই বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এদিকে ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাসের পাশাপাশি মেট্রো পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। এই অবস্থায় কেন ফের লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না,তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া চিঠিতে কী লেখা ছিল?
এর আগে রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া চিঠিতে সকালে এবং বিকেলে অফিস টাইমে সীমিত সংখ্যক লোকাল ট্রেন চালানোর নিয়ে পূর্ব রেলের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছে নবান্ন। অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে সীমিত সংখ্যক লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয় হাওড়া স্টেশন
যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয় হাওড়া স্টেশন। রেল কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে ওঠার দাবি নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তারা হাওড়া স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করলে আপিএফ বাধা দেয়। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। যাত্রীদের দাবি, সড়কপথে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে। বিষয়টি নজরে আসার পরেই স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি দেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে।
লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি
লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। বামফ্রন্ট সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লোকাল ট্রেন না চালাতে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে উপলব্ধি করেই রাজ্য সরকার ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা চাইল। অন্তত রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ তেমনই।
ট্রেন চালানো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞদের মত, ট্রেন চললে যে সব বিষয়ে নজর দিতে হবে তা হল, একসঙ্গে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব ট্রেন চালু করতে হবে, যাতে প্রতিটি ট্রেনে ভিড় কম হয়। তাছাড়া প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে ট্রেন পর্যন্ত সর্বত্র যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা চলতে পারেন তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে তা দেখভাল করতে হবে।
কী চাইছে রাজ্য প্রশাসন?
এদিকে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে, শুধু অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন চলুক। সেক্ষেত্রে কটি ট্রেন, কোন কোন রুটে সকালে ও বিকেলে চলবে, তা নিয়ে কথা হবে। এছাড়া মেট্রোর মতো ই-পাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। তবে লোকাল ট্রেনের অতগুলি দরজা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।