Just In
(ছবি) বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দেখে নিন দূষণ কীভাবে ক্ষতি করছে আমাদের
এইবছরের আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসের থিম হল "সেভেন বিলিয়ন ড্রিমস ; ওয়ান প্ল্যানেট ; কনজিউম উইথ কেয়ার।"
যতদিন যাচ্ছে নীলগ্রহ পৃথিবী ততই বসবাসের অযোগ্য় হয়ে উঠছে। আমরা নিজেরাই পরিবেশের ক্ষতি করে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি। দিন দিন দূষণের মাত্রা প্রবল হারে বাড়ছে। আর তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীর ও মনে।
আসুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সাবধান হওয়া যাক সেই রোগগুলি থেকে যেগুলি পরিবেশ দূষণের ফলে নিত্যদিন আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে।
মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি
দূষণের ফলে হওয়া অত্যন্ত কমন রোগের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মাথাব্যথা ও সবসময়ের ক্লান্ত বোধ করা।
ফুসফুসের ক্যানসার
এখনকার দিনে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ফুসফুসের ক্য়ানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শহুরে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েছে।
পিসিওডি
পিসিওডি বা পলি সিসটিক ওভারিস সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের শিকার হন মহিলারা। এর জন্য মূলত দায়ী দূষণ।
শরীরে ধাতুর উপস্থিতি বেড়ে যাওয়া
শিল্পাঞ্চল এলাকায় কলকারখানার আশেপাশে যারা বসবাস করেন তাদের শরীরে এর ফলে নানা রোগ বাসা বাঁধে। নানা ধরনের চামড়ার রোগ, ক্যানসার বা রক্তের দূষণ হয়ে মারা যান অনেকেই।
ব্রঙ্কাইটিস
বায়ু দূষণের ফলে ব্রঙ্কাইটিসের প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায়। বাতাসের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে শরীরকে বিষিয়ে তোলে।
ত্বকের ক্যানসার
ওজোন স্তরে যত ছিদ্র হবে ততই বাড়বে ত্বকের ক্য়ানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। আর ওজোন স্তর ধ্বংসের মূল কারণ হল পরিবেশ দূষণ।
গা গুলিয়ে ওঠা
গ্যাসের সমস্যা, গা গুলিয়ে ওঠা, এই সবকটারই মূল কারণ হল শরীরে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে টক্সিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আর এর মূলেই রয়েছে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাব।
ডিমেনশিয়া
শব্দদূষণের ফলে হওয়া অন্যতম বড় রোগ এই ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি লোপ পাওয়া। দূষণের ফলে মস্তিষ্কের কোষের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়। যার ফলে মানুষ বেশি করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
হাঁপানি
হাঁপানি হলে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রবল সমস্যা হয়। এখনকার দিনে সবধরনের দূষণের মাত্রাই বেশি হওয়ায় বাচ্চা-বয়স্ক সবারই হাঁপালির সমস্য়া হতে পারে।
শিশু জন্মের সময় সমস্যা
দূষণের অন্যতম ভয়ঙ্কর সমস্যা এটি। বাবা-মায়ের শরীরের দূষণের প্রভাব পড়ে জন্ম নেওয়া শিশুর উপর। নানা ধরনের খুঁত দেখা দেয় শিশু জন্মের সময়।