Just In
(ছবি) প্রথম চাকরির জন্য কি কি মাথায় রাখা উচিত
সবসময় মনে রাখবেন, আপনার প্রতি প্রথম ধারণাটাই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাই প্রথমবার কারও সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগে সতর্ক হোন। আর সেটা যদি হয় অফিসের প্রথম কোনও ইন্টারভিউ তাহলে সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে বৈকি। [অফিসে যে জিনিসগুলি করা আমাদের একদম উচিত নয়]
ছোট থেকেই পড়াশোনার হাজারো ঝক্কি সামলে আপনি চাকরি করার মতো যোগ্য হয়েছেন। তবে এই শেষ ধাপে এসে যদি পা ফসকে যায় তাহলে জীবনে চলার পথটি খুব একটা মসৃণ হবে না। [অফিসের জন্য সেরা ১০ টি এথনিক লুক]
কোনও জায়গায় প্রথম চাকরি করতে হিসাবে গেলে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনাকে। প্রথমত, আপনার সেই কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনাকে খুব দ্রুত ও ভালোভাবে কোনও জিনিস শিখতে হবে। [জেনে নিন 'ওয়াই-ফাই' এর ভয়ঙ্কর প্রভাব সম্পর্কে]
হতেই পারে যেখানে চাকরিপ্রার্থী হিসাবে আপনি গিয়েছেন, সেই কাজ সম্পর্কে আপনার বিশেষ জ্ঞান নেই। গোটা ধারণাটাই একেবারে নতুন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস আপনার অবশ্যই করণীয়। [এই অভ্যাসগুলি আপনার দুর্বলতার প্রধান কারণ]
অনেক সময়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ভাবেন, যে কাজটির জন্য তাঁকে নেওয়া হয়েছে সেটি তার জানা কাজ। তবে মনে রাখবেন, কাজ জানা হলেও, আপনার কাজের পরিবেশ, চারপাশের সহকর্মী ও বস কিন্তু বদলে গিয়েছে। তাই নিচের স্লাইডে ক্লিক করে জেনে নিন, নতুন চাকরিতে গিয়ে কি কি মাথায় রাখবেন। [শরীরের এই অংশগুলিকে আকছার আমরা পরিষ্কার করতে ভুলে যাই]
মনোযোগ দিয়ে শুনুন ও খোলামনে কথা বলুন
প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনি নতুন লোক। তাই সবকিছু বুঝতে খানিক সময় নিন। আপনার উপরের ব্যক্তিদের কথা শুনুন ও প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা সম্পর্কে বিশদে বোঝার চেষ্টা করুন।
বাহানা বানাবেন না
আপনি কেন পারেননি বা করতে পারছেন না, এসব বাহানা কোনও প্রতিষ্ঠান শুনবে না। নিজের ভুল হলে তা স্বীকার করে নিন। কীভাবে তা শুধরে নেবেন সেই দায়িত্ব আপনারই।
সময়ানুবর্তিতা
সময়ানুবর্তিতা একটি বড় গুণ। যে কাজই আপনাকে দেওয়া হোক, সময়ের মধ্যে তা শেষ করার চেষ্টা করুন।
শেখার ইচ্ছা
এখনকার প্রতিযোগিতার বাজারে টিঁকে থাকতে গেলে প্রতি মুহূর্তে শেখার চেষ্টা করতে হবে।
নিজের পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে
অফিসে গিয়ে কি করছেন, কীভাবে করছেন এবং কেন করছেন, তা নিয়ে নিজের স্বচ্ছ্ব ধারণা থাকতে হবে। নিজের পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
ছকের বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে
২-এ ২-এ চার নয়, ২২-ও হতে পারে। সবসময় অন্যরকম চিন্তাভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে হবে। উন্নতি করতে গেলে এটা প্রধান শর্ত।
বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার
মনে রাখবেন, কাজের জায়গায় নিজের মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। কেউ আপনার রাগের ধার ধারবে না। তাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে কাজ হাসিল করুন।
প্রেজেন্টেবল হতে হবে
আপনি নিজের বাড়িতে কতোটা অগোছালো তা কাজের জায়গায় যেন প্রকাশ না পায়। অফিসে গুছিয়ে কাজ করা দিকে মন দিতে হবে।
কাজগুলি মনে রাখুন
নতুন কাজের জায়গায় অনেক কাজ একসঙ্গে দেওয়া হতে পারে। পরপর সেগুলুকে মনে রেখে করে যেতে হবে। ভুললে চলবে না।
নিজের কাজকে উপভোগ করুন
নানা নিয়ম অনুসরণ করার পরে যদি নিজের কাজটিকে ভালো না বাসেন তাহলে খুব সমস্যা হবে। তাই সবচেয়ে প্রথমে নিজের কাজ সম্পর্কে ভালোবাসা তৈরি করুন।