সন্তান লালন-পালনে যত্নশীল হন, বাবা-মায়ের ভুলে সন্তান বিপথগামী হতে পারে
শিশু সন্তানকে বড় করাটা বাবা-মায়ের কাছে চ্যালেঞ্জের। বাবা-মায়ের উভয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের নানা ভুলের কারণে সন্তান বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে। অভিভাবকরা অনেক সময় সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে তার উপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেন। এতে করে সন্তানের মনোবিকাশে বাধা হয় দাঁড়ায়। এরকম অনেক উদাহরণ আছে,বাবা কিংবা মা নিজের অপূরণীয় স্বপ্ন তাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেন। এটি অনেক শিশুদের উপরই প্রভাব ফেলে। এই কারণে সন্তান ও বাবা-মায়েদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। বাবা-মায়ের কিছু ভুল সন্তানের আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করতে পারে। আজকের এই প্রতিবেদনের মধ্যে তুলে ধরা হল সন্তানকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে একজন বাবা-মায়ের কী করা উচিৎ।
আপনার সন্তানকে দায়িত্বশীল কররে তুলুন
বাবা-মায়ের একটা স্বাভাবিক ধারনা থাকে তাদের সন্তানরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য এখনি তৈরি নয়। কিন্তু সন্তানদের মানসিক অবস্থা বুঝে তার প্রতিভা অন্বেষন করতে শেখান। যাতে বাইরের কোন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মুখোমুখি হতে আদের অসুবিধা না হয়। সন্তানের লালন-পালন এমন হওয়া উচিৎ যাতে তারা নিজেদের কাজের এবং দায়িত্বের প্রতি সজাগ থাকেন। তাদেরকে দিয়ে ঘরকন্নার ছোট ছোট কাজ করান। কোন ক্রিয়েটিভ কাজে ব্যস্ত রাখুন, যাতে তাদের সৃজনশীলতা বাড়ে।
সন্তানকে সমস্যা সমাধান করতে শেখান
সন্তানকে সব সময় আগলে রাখা মানে, এই নয় যে আপনি তার সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সন্তানের সব বিষয়ে সংযুক্ত থাকার পরেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। যে বাবা-মায়েরা সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের সন্তানেরা পরবর্তীতে বিগড়ে যান এবং ভুল কাজের দিকে ঝুঁকে পড়েন। যদি তারা ভুলবশত কোন কাজ করে ফেলেন, তাহলে তাদেরকে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে শেখান। ভুলের মধ্য দিয়ে মানুষ অনেক কিছু শেখে।
সন্তানের মানসিক বিকাশে সাহায্য করুন
সন্তানের পছন্দকে গুরুত্ব দিন।ছেলে-মেয়েদের উপর বাবা মায়েরা অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন, যা তাদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। আবেগ অনুভূতি এই বিষয়গুলি নিয়ে সন্তানকে ভাবতে শেখান। তাদের আবেগকে সঠিক পথে চালিত করুন। সন্তানের দূর্বল জায়গাগুলি তাদেরকে দিয়ে খুঁজে বার করতে শেখান। যাতে তার ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
বকাঝকা বা শাস্তি দিন বুঝেশুনে
শিশুকে বকাঝকা করা বা শিশুর সামনে চিৎকার করা অথবা অন্য কোনো উপায়ে রাগ প্রকাশ করেন অনেকেই। এই ধরনের আচরণে শিশুর নানা ধরনের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই ধরনের শিশুরা প্রায়ই মানসিক সমস্যায় ভোগেন বলে গবেষণায় উটে এসেছে। ধৈর্য এবং ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তার ভুলকে খুঁজে বার করতে দিন অথবা সমস্যার সমাধান করুন। যার ফলে সন্তানের জীবনে সহজে সাফল্য আসবে।
সন্তানের মধ্যে অসহায় ভাবনা আনবেন না
সন্তানের সামনে কখনই হতাশ বা অসহায় এমন কথার উল্লেখ করবেন না। যদি সংসারে কোন সমস্যা থাকে, তাহলে তাদেরকে দূরে রেখে সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। কারণ সন্তানের মনোবিকাশে বাধা হয় দাঁড়াবে সাংসারিক দ্বন্দ। অন্যদের তুলনায় আপনার সন্তান তখন অসহায়তার সন্মুখীন হতে শুরু করবে।
ভালোবাসার আকাঙ্খাকে দ্বিগুণ করে পার্টনারকে খুশি করতে খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি