যুবদের মধ্যেই Diabetes-এ আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
যুবদের মধ্যেই Diabetes-এ আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
Diabetes under 30: ডায়বেটিজকে নিয়ে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক গবেষণা! আর তাতে দাবি করা হচ্ছে যে গিত ৩০ বছরে যুবদের মধ্যে ডায়বেটিজে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ২০০ টি দেশের ডেটাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে, ১৯৯০ থেকে নিয়ে ২০১৯ এর মধ্যে যুবদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়বেটিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর এই চাঞ্চল্যকর গবেষণা বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যুবদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়বেটিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে
গবেষণাতে বলা হয়েছে মধ্য এবং নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের ৩০ বছরের কম বয়সের যুবদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়বেটিজে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সের মহিলারা বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় 42.2 কোটি মানুষ ডায়বেটিজে আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ডায়বেটিজে আক্রান্ত হয়ে। আর এর মধ্যেই গবেষণার যে তথ্য সামনে এসেছে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের মধ্যে।
কেন এমন অবস্থা
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, টাইপ-২ ডায়বেটিজ সাধারণ ভাবে বেশি বয়সের মানুষ এবং বয়স্কদের মধ্যে হয়ে থাকে। ডায়বেটিজে সবথেকে ভয়ঙ্কর রোগের মধ্যে হার্টের রোগ সহ একাধিক বিষয় রয়েছে। এর মধ্যেই সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বে ৪০ বছরের নীচে মানুষ ডায়বেটিজের চিকিৎসা করাতে বেশি আসছেন। তবে কোন দেশে এমন অবস্থা সে বিষয়ে যদিও ওই সমীক্ষাতে কিছু বলা হয়নি। তবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণেই ডায়বেটিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অল্প বয়সে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে সমীক্ষাতে উঠে এসেছে।
নীতি তৈরির কথা বলা হচ্ছে
তবে এই সমীক্ষাতে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়েছে। যদিও এই অবস্থায় গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি'র ডেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যা ২০১৯ এর একটি তথ্য। যদিও সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমস্ত দেশের সরকারের উচিৎ ডায়বেটিজ নিয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক হওয়া। শুধু তাই নয়, নীতি তৈরির কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা।
১৫ থেকে ৩৯ বছরে সমস্যা বেশি
সমীক্ষাতে জানা যাচ্ছে, ১৫ বছর থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে যুবদের মধ্যে ডায়বেটিজের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। ১৯৯০ সালে যেখানে এক লাখের বেশি বসবাসকারীর মধ্যে এই বয়সে মাত্র ১১৭ জন লোক ডায়বেটিজ আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে প্রতি এক লাখে ১৮৩ জন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই কারণে ১৯৯০ সালে যেখানে এক লাখে 0.74 মানুষের মৃত্যু হয়, সেখানে তা বেড়ে 0.77 হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে ডায়বেটিজের কারণে মহিলাদের মৃত্যুর অনেক বেশি ছিল। মূলত যখন শরীরে ইন্সুলিনের উৎপাদন কমে যায় তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সেই গ্লূকোজ রক্তের মধ্যে দিয়ে মানব শরীরে হার্ট, কিডনি ব্রেন এবং চোখে মারাত্মক আঘাত করে। ডায়াবেটিস হওয়ার পর এই সমস্যাগুলো অনেকেরই হয়ে থাকে।