Just In
Don't Miss
(ছবি) ভরা বর্ষায় ফ্লু থেকে বাঁচতে এগুলি রাখুন ডায়েট চার্টে
বর্ষার সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশি সহ নানা ভোগেন। এই সময়ে বিশেষ করে পেটের সমস্যা তো কাবু করেই পাশাপাশি জ্বরেরও নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রতিবছর বর্ষার সময়ে ঘরে ঘরে এই একই চিত্র দেখা দেয়। তাই বলে বর্ষায় ঘরে বসে থাকাও সবসময় সম্ভব নয়। বাইরে বেরতেই হবে নানা কাজে। আর তখন বৃষ্টি বা জমা জল গায়ে লাগা মানেই নানারকম রোগের খপ্পরে পড়তে হয়।
রোগগ্রস্ত হয়ে পড়লে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে ছুঁটতে হয়। তবে বাড়িতেই কয়েকটি জিনিস অভ্যাস করতে পারলে রোগের কবলে পড়বেন না আপনি। এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনও পড়বে না আপনার। নিচের স্লাইডে ক্লিক করে দেখে নিন, ভরা বর্ষায় কোন কোন খাবার রাখবেন আপনার ডায়েট চার্টে।
রসুন
বর্ষা সহ সব ঋতুতেই সবচেয়ে সেরা ফ্লু ফাইটার হল রসুন। এতে রয়েছে 'অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল' উপাদান যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আদা
রসুনের মতো আদাও সর্দি-কাশিতে অসাধারণ কাজ দেয়। ফলে ফ্লু-এর সময়ে হওয়া মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ থাকা, গলা খুসখুস করা ইত্যাদিতে আদা অব্যর্থ। চায়ে আদা মিশিয়ে খেলে ফ্লু আটকাতে বিশেষ বেগ পেতে হয় না।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে রয়েছে অ্যালিসিন, যা সর্দি-কাশিতে দারুণ কাজ দেয়। পাশাপাশি এসময়ে মুখ বিস্বাদ হয়ে যাওয়াও আটকাতে পেঁয়াজ বিশেষ সাহায্য করে।
চা
যেকোনও ধরনের চা-ই সর্দি-জ্বরে বিশেষ কাজে দেয়। অনেক সময়ে বর্ষায় ডায়রিয়ার কবলে পড়তে হয়। কালো চা খেলে সেই সমস্য়া থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
মধু
শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে মধু সবসময়ই অব্যর্থ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন চা হোক বা গরম জল অথবা দুধ, মধু মিশিয়ে খেলে সবরকমভাবেই উপকার পাওয়া যাবে।
গোলমরিচ
সর্দিজ্বর, গলা খুসখুস, গলা ব্যথা, ঠান্ডা লেগে মুখের ভিতর চটচটে হয়ে থাকা, ইত্যাদি সমস্যায় খাবারে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বন্ধ নাক খোলা সহ নানা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ঘটে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িতে তুলে নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এতে আদা ও মধু মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাবেন।
লেবু জল
গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে গলা জ্বালা কমে যায়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
দই
টক দই শুধু পেটের জন্যই ভালো নয়, বর্ষার সময়ে ফ্লু আটকাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। পেটের নানা সমস্যা বেশি দেখা যায় বর্ষাকালে। দই খেলে তা অনেক কমে যায়।