Just In
(ছবি) গরমে সানস্ট্রোক থেকে বাঁচতে এগুলি খান
এখনকার দিনে বেশিরভাগ মানুষই ইলেকট্রিক কুকার বা প্রেশার কুকারে ভাত রান্না করে খান। তবে এর চেয়ে হাঁড়িতে জল ফুটিয়ে রান্না করলে ভাত ও ভাতের জলকে নানাভাবে কাজে লাগানো যায়। [গরমে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন প্রয়োজনীয় এই টিপসগুলি]
চাল ফুটিয়ে ভাত করার পর যে জল পড়ে থাকে তাকে অন্য নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। এই জলকে আমরা বাংলায় ভাতের মাড় বলে থাকি। এটি যেমন ঠান্ডা করে গাছের গোড়ায় দেওয়া হয়, মাটিতে সার হিসাবে কাজে লাগানো হয়, তেমনই আগেকারদিনে এটিকে জামাকাপড়ে দিয়ে কড়কড়ে করা হতো। [গরমে এনার্জি ধরে রাখার উপায়]
তবে জানেন কি, ভাতের পাশাপাশি ভাতের মাড়ও স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপযোগী। শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও এটি বিশেষ কাজে লাগে। গবেষণা বলছে, ভাতের মাড় সপ্তাহে একদিন খাওয়া গেলে স্বাস্থ্য ফেরে। [গরমের মোকাবিলায় সেরা ১০ পানীয়!]
গ্রামে প্রচুর মানুষ ভাতের মাড় খান। মাঠে-ঘাটে কাজ করা এই মানুষগুলি শহুরে জনতার চেয়ে শক্তিশালী হন সেটা বলাই বাহুল্য। এই ভাতের মাড়ই গরমকালে সানস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতে পারে আপনাকে। কীভাবে তা জেনে নিন নিচের স্লাইড থেকে।
এনার্জি ফেরায়
এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা আপনাকে তরতাজা রাখে। সকালে এক কাপ ভাতের মাড় বা চাল ধোওয়া জল খেলে সারাদিন এনার্জি ধরে রাখা সম্ভব।
সূর্য়ের তাপ থেকে বাঁচায়
চাল ধোওয়া জলে থাকে ওরাইজেনল যা সূর্য়ের তাপ ও অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।
পেট পরিষ্কার রাখে
পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষ সাহায্য করে চাল ধোওয়া জল।
ডিহাইড্রেশন কমায়
শরীরে জলের মাত্রা ধরে রেখে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচায় ভাতের মাড় বা চাল ধোওয়া জল।
ডায়রিয়া আটকায়
গরম বা বর্ষাকালে ডায়বিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। এটি খেলে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
ক্যানসার প্রতিরোধ
নিয়মিত চাল ধোওয়া জল বা ভাতের মাড় খেলে কয়েক ধরনের ক্যানসারকে দূরে রাখা সম্ভব।
সংক্রমণ রোধ করা
যেকোনও ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে ভাতের মাড়।