Just In
(ছবি) বাঙালির হাতে গড়া 'বন্ধন ব্যাঙ্ক' সম্পর্কে যে তথ্য জানা আবশ্যক
রবিবার বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে 'বন্ধন' ব্যাঙ্ক। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও বেসরকারি ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র পেয়ে পূর্ব ভারতে পথ চলা শুরু করল।
বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর চন্দ্রশেখর ঘোষের লক্ষ্য ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে আরও বেশি করে আর্থিক সাহায্য করা।
২০০১ সালে পথ চলা শুরু করে বন্ধন ব্যাঙ্ক। এরপরে গতবছর আরবিআইয়ের সমস্ত শর্ত পূরণ করে জোটে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র। শনিবার কলকাতায় এই ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
নিচের স্লাইডে জেনে নিন, একজন খাঁটি বাঙালি চন্দ্রশেখরের বন্ধন ব্যাঙ্ক সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
একদশকেরও বেশি আগে ২০০১ সালে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা হিসেবে বন্ধন ব্যাঙ্কের পথ চলা শুরু হয় হাওড়ার বাগনানে।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
প্রথমে বন্ধনের কর্মী ছিলেন মাত্র তিন জন। সংস্থা সূত্রে খবর, এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১৯,৫০০ জন।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
২৪টি রাজ্যে ৫০১ টি শাখা, ৫০টি এটিএম নিয়ে শুরু হয়েছে পথ চলা। ২০১৬-র অর্থনৈতিক বছরের মধ্যেই বন্ধনের ৬৩২টি শাখা, ২৫০টি এটিএম মোট ২৭টি রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছে বন্ধন।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
প্রথম দিন থেকেই বন্ধন ব্যাঙ্কের পথ চলা শুরু হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ অ্যাকাউন্ট দিয়ে।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট শাখার ৭১ শতাংশই ভারতের গ্রামীণ এলাকায় হবে। যে সকল জায়গায় ব্যাঙ্কের শাখা নেই, সেই জায়গাগুলিকে আরও বেশি করে ফোকাস করা হবে।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
পশ্চিমবঙ্গে বন্ধনের সবচেয়ে বেশি শাখা (২২০টি) থাকবে। এরপরে বিহারে ৬৭টি, অসমে ৬০টি, মহারাষ্ট্রে ২১টি, উত্তরপ্রদেশে ও ত্রিপুরায় ২০টি করে ও ঝাড়খণ্ডে ১৫টি শাখা থাকবে।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
কলকাতায় হবে বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড কোয়ার্টার। সাধারণ ব্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি মাইক্রো ব্যাঙ্কিং নিয়েও কাজ করবে বন্ধন।
বন্ধন ব্যাঙ্ক
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বন্ধনের কর্মীদের সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সমাজের একেবারে পিছিয়ে পড়া অংশকে নিয়ে কাজ করলে তবেই বন্ধন ব্যাঙ্ক খোলার ভাবনা কার্যকর হবে।