Just In
(ছবি) এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকুন এই ৬ উপায়ে
গত ১০ বছরে এটিএম-এর ব্যবহার বেড়েছে। তারই সঙ্গে সমান তাল মিলিয়ে বেড়েছে অপরাধও। অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নানা ফন্দি বেরিয়েছে। তাই সুরক্ষিত থাকার জন্য মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
এটিএম-এর ফলে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা টাকা তোলা অনেক সহজ ও সরল হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে জরুরীকালীন অবস্থায়। রাতে যদি টাকার প্রয়োজন হয় তখন ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তোলা সহজ নয়, টাকার জন্য পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এটিএম থাকায় যখন প্রযোজন তৎক্ষণাৎই আপনি এটিএম থেকে গিয়ে টাকা তুলে নিতে পারবেন কারোর উপর আপনাকে নির্ভরশীল হতে হবে না। [ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এটিম, কিন্তু নিরাপত্তা সেই তলানিতেই]
গত ১০ বছরে এটিএম-এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তারই সঙ্গে সমান তাল মিলিয়ে বেড়েছে অপরাধও। চতুরতার সঙ্গে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নানা ফন্দি ফিকির বেরিয়েছে। জালিয়াতরা এখনও আরও বেশি সজাগ হয়েছে, যাতে পুলিশ বা অন্য কারোর হাতে না আসে তার জন্য একাধিন টেকনিকও ব্যবহার করছে তারা। [গোটা 'এটিএম' মেশিন নিয়ে পালাল ডাকাতদল]
দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা সময় এটিএমের মাধ্যমে জালিয়াতির নানা খবর পাওয়া যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সেই ভয়ে এটিএম-এর মতো উপযোগী পরিষেবা গ্রহণ করব না। এক্ষেত্রে প্রয়োজন একটু সতর্ক থাকা। তাই এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় কয়েকটা জিনিসের শুধু খেয়াল রাখুন।
১. এটিএম কার্ডের পিন
এটিএম কার্ডের পিন মাত্র ৪ টি সংখ্যার হয়। তাই মনে রাখা সহজ। চেষ্টা করুন এই নম্বরটি মনে রাখতে। অনেকে পিন নম্বরটি লিখে ব্যাগে বা ফোনে রেখে দেন। চেষ্টা করুন এটি এড়িয়ে চলতে। আর যদি লিখে রাখেনও তাহলেও কার্ড আর আপনার লেখা পিন নম্বরটি একই জায়গায় কখনওই রাখবেন না। কারোর হাতে দুটি একসঙ্গে পড়লে অতি সহজই পিন নম্বর ব্যবহার করে আপনার টাকা বের করে নিতে পারে সে।
পিন আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য
এটিএম কার্ডের পিন আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। এই নম্বরটি কাউকে জানাবেন না, বন্ধু বা পরিবারের কাউকেও না। কার্ডটিও কারোর হাতে দিয়ে দেবেন না ব্যবহারের জন্য। হোটেলে বা দোকানে যখন আপনি আপনার ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা মেটাতে যান তখন অনেক সময় কর্মীরা আপনার থেকে কার্ড নিয়ে গিয়ে সোয়াইপ করে কিছুক্ষণ পরে এসে দিয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বলুন সোয়াইপ মেশিনটি আপনার কাছে এনে সোয়াইপ করার জন্য।
হাত দিয়ে ঢেকে রাখুন
এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এটিএম যন্ত্রটির সামনে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে কিপ্যাড আপনার শরীর দিয়ে ঢেকে যায়, প্রয়োজনে অন্য হাত দিয়ে ঢেকে পিন নম্বরটি টাইপ করুন, যাতে সিসিটিভি ক্যামেরাতেও আপনার হাতের আঙুল নাড়ানো দেখে পিন নম্বরটি আন্দাজ না করা যায়।
অপরিচিত কারোর সাহায্য নেবেন না
অনেক সময় এটিএম থেকে টাকা বের করার সময় সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপরিচিত কারোর থেকে সাহায্য চাইবেন না। এমনকি এটিএম-এ কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরও না। আপনার ডেবিট কার্ডটি নিয়ে সোজা ওই ব্যাঙ্কের কাছে চলে যান। সেখানে সমস্যার কথা জানান। আর যদি কার্ডটিই মেশিনে আটকে যায়, তাহলে সেখানেই দাঁড়ান এবং ব্যাঙ্কে ফোন করে আপনার কী করণীয় জানতে চান।
ক্যানসেল বোতাম
টাকা তোলা হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসবেন না। ৩০-৪০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর 'ক্যানসেল' বোতামটি টিপে তারপর এটিএম থেকে বেরিয়ে আসুন। মনে করে আপনার ডেবিট কার্ডটি নেবেন। সঙ্গে যদি টাকা তোলা সংক্রান্ত কোনও স্লিপ বেরয় তা সঙ্গে নিতে পারে নয়তো তিন চারবার ছিঁড়ে তা ময়লা ফেলার জায়গায় ফেলে চলে আসতে পারেন। তবে না ছিঁড়ে স্লিপটি ফেলবেন না।
ডেবিট কার্ড হারালে
আপনার ডেবিট কার্ডটি যদি হারিয়ে যায় বা চুরি যায়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করে আপনার কার্ডটিকে ব্লক করিয় দিন। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের সঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ করুন। একইসঙ্গে আপনার নিকটবর্তী থানায় এটিএম কার্ড হারিয়ে যাওয়ার ডায়েরি করুন।