মোবাইলেই বুক হবে করোনা ভ্যাকসিন, এক নজরে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের খুঁটিনাটি
এ বছরের ১৬ই জানুয়ারি সর্বপ্রথম দেশজুড়ে চালু হয় করোনা টিকাকরণ। প্রথম সারির কোভিড-যোদ্ধাসহ ঝুকিপূর্ণ স্বাস্থ্যকর্মীদে টিকাকরণ বতর্মানে শেষের পথে। এমতাবস্থায় দ্বিতীয় ধাপে এবার দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও কো-মর্বিডিটিযুক্ত ৪৫ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকদের টিকাকরণ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পয়লা মার্চের সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, কো-উইন পোর্টাল বা আরোগ্য সেতু মারফত সোমবার সকাল ৯টা থেকেই কোভিড প্রতিষেধকের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন নাগরিকরা।
কী ভাবে করা যাবে রেজিস্ট্রেশন ?
সরকারি বিবৃতি অনুসারে নাম নথিভুক্তির জন্য কো-উইন অ্যাপ বা www.cowin.gov.in পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। তারপর মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর নাম নথিভুক্তির স্থানে গিয়ে সমস্ত তথ্য ও তথ্যপ্রমাণ জমা করতে হবে। পাশাপাশি কোমর্বিডিটির জন্য অতিরিক্ত বিকল্প রয়েছে বলেও খবর। সূত্রের খবর, রেজিস্ট্রেশনের পরে আরও তিনজনকে যুক্ত করতে পারবেন নাগরিকরা। পাশাপাশি নিজস্ব পছন্দমত টিকাকরণ সাইট বেছে নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
টিকাকরণের অন্যান্য নিয়মাবলী
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, টিকার সহজলভ্যতা বিচার করে সময় নির্ধারিত হবে কো-উইন পোর্টালের তরফে। তাছাড়া টিকাকরণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় হাতছাড়া করলে যে সমস্যায় পড়বেন নাগরিকরা, তাও জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, টিকাকরণ সাইটগুলি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যদিও ৪৫ বছরের নিচের নাগরিকদের টিকাকরণ কবে হবে, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে।
কবে নেওয়া যাবে দ্বিতীয় ডোজ?
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, প্রথম ডোজের জন্য দিন নির্ধারিত হলে একই টিকাকরণ সাইটে ২৯তম দিনে দ্বিতীয় ডোজের নথিভুক্তি একই সঙ্গে সম্পন্ন হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে সমস্ত বিধিবলী জাতীয় স্বাস্থ্য পর্ষদ (এনএইচএ) এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে বলে জানান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে কোভিড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ডোজ পিছু টিকার দাম হতে পারে সর্বাধিক ২৫০টাকা, জানাচ্ছেন করোনাবিদরা।
ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ
ষাটের নীচে বয়স থাকলেও কিছু বিশেষ কোমর্বিডিটির ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ৪৫-৫৯ বছর বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রায় ২০টি এহেন কো-মর্বিডিটির কথা উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই তালিকায় রয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নাগরিকরা, মাঝারি থেকে তীব্র সমস্যায় ভোগ হৃদরোগীরা, সিটি/এমআরআই করানো স্ট্রোকের রোগীরা, ১০ বছরের বেশি ডায়াবেটিসে ভুক্তভোগীরা এবং ২০০০ সালের পরে কর্কট আক্রান্তরা।