একবার গঙ্গাস্নান করলেই পাবেন ১০০টি যজ্ঞ সমান পুণ্যলাভ, জেনে নিন গঙ্গাসাগর মেলার মাহাত্ম্য
একবার গঙ্গাস্নান করলেই পাবেন ১০০টি যজ্ঞ সমান পুণ্যলাভ, জেনে নিন গঙ্গাসাগর মেলার মাহাত্ম্য
সব তিথির মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলাকে খুবই মাহাত্ম্য দেওয়া হয়েছে। ধার্মিক মতে এটা মানা হয় যে গঙ্গাসাগরের স্নানের মতো পুণ্য অন্য কোনও তীর্থ থেকে পাওয়া যায় না। আসলে গঙ্গাসাগর মেলা পশ্চিমবঙ্গে পৌষমাসে শুরু হয়। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত–সাধুরা এখানে এসে পৌঁছায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক গঙ্গাসাগর মেলা কেন বিশেষ বলে মনে করা হয়।
প্রতি বছর হয় গঙ্গাসাগর মেলা
প্রত্যেক বছর সাগর দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কপিলমুনির আশ্রমে মক্রর সংক্রান্তিতে এই গঙ্গাসাগরের মেলা হয়। এই তীর্থের বিষয়ে বলা হয় যে 'সব তীর্থ বাব বার, গঙ্গাসাগর একবার'। এই প্রচলিত কথার পেছনে থাকা অর্থ হল যে পুণ্যলাভ তীর্থযাত্রীরা সব তীর্থ থেকে পেয়ে থাকেন, তার চেয়ে অধিক পুণ্য পাওয়া যায় গঙ্গাসাগরে একবার তীর্থযাত্রা করলে। গঙ্গাসাগর মেলা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর তীরে হয়। এখানে গঙ্গা নদী ও বঙ্গোপসাগর মিলিত হয়েছে। তাই একে গঙ্গাসাগর বলা হয়। এখানে উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা (কুম্ভমেলার পরে)।
গঙ্গাসাগর স্নান: ১৪ জানুয়ারি বিশেষ স্নান
৮ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হলেও ১৪ জানুয়ারি বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মেলায় আসেন। কারণ বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে গঙ্গাসাগরে স্নান করলে ১০০টি অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্য পাওয়া যায়। এবার গঙ্গাসাগর স্নান মেলা চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গঙ্গাসাগর স্নানের পৌরাণিক মাহাত্ম্য
মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর স্নানেরও পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে। কথিত আছে যে, শিবের চুল থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা যখন ঋষি কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছেছিল, তখন ছিল মকর সংক্রান্তির দিন। মনে করা হয় এই দিনে মা গঙ্গা কপিল মুনির অভিশাপে রাজা সাগরের ৬০ হাজার পুত্র মোক্ষ দান করে সাগর লাভ করেন।
মেলার আকর্ষণ
হিমালয়ের সাধুসন্তরা মেলার বিশেষ আকর্ষণ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কেবল ছাইভস্ম গায়ে মেখে অনাবৃত অবস্থায় তারা তাদের ধর্মীয় নিয়ম পালন করে যাচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে আরম্ভ করে সেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন। জাতপাত ভুলে, সমস্ত সঙ্কীর্ণতা দূরে ঠেলে ঐক্যের এক ভারতের সূচনা ঘটে এই মেলায়।