For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বাঙালির ভূত চতুর্দশী, বিদেশের হ্যালোইন , জেনে নিন এই বিশেষ উৎসব সম্বন্ধে

বাঙালির ভূত চতুর্দশী, বিদেশের হ্যালোইন , জেনে নিন এই বিশেষ উৎসব সম্বন্ধে

Google Oneindia Bengali News

প্রতি বছর ৩১অক্টোবর বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় "হ্যালোইন উৎসব"। কালীপুজোর আগের দিন যেমন আমরা "ভূত চতুর্দশী" পালন করে থাকি, অর্থাৎ স্বর্গত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে পুজোপাঠ আর জ্বালানো হয় চোদ্দ- প্রদীপ। বাড়ির উঁচু জায়গায় সারা কার্তিক মাস জুড়ে একটা প্রদীপ জ্বেলে রাখি, যাতে আলোর পথ ধরে আমাদের পূর্বজরা আকাশের তারাদের দল থেকে নেমে পথ চিনে চিনে স্বজনের কাছে আসবে বলে।

পশ্চিমী দেশগুলিতে

পশ্চিমী দেশগুলিতে

ঠিক তেমনই পশ্চিমী দেশগুলিতেও পালিত হয় হ্যালোইন। মানে "সাহেবী ভূতচতুর্দশী" বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। অবশ্য মেম - সাহেবরা চোদ্দশাক খায় কিনা তা বিশেষ জানা নেই। হ্যালোইন All Hallows' Eve নামেও পরিচিত। মূলত ইউরোপ এবং আমেরিকার উৎসব হলেও, এখন এশিয়াতেও হ্যালোউইন উদযাপন করতে দেখা যায়। এসব দেখে এতে এই গ্রহের একাধিক মহাদেশের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

উৎসব সম্পর্কে

উৎসব সম্পর্কে

জেনে নেওয়া যাক এই উৎসব সম্পর্কে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য। হ্যালোইন এর সঠিক বাংলা সম্ভবত হয়না। তবে তাদের বক্তব্যে ৩১শে অক্টোবর মৃতদের পুনরুত্থানের দিন। সংসদ অভিধান বলছে - প্রকৃতপক্ষে, Hallowe'en শব্দটি " All Hallows Eve" থেকে উদ্ভূত হয়েছে , যা ৩১শে অক্টোবর পড়ে। আর ১লা নভেম্বর - All Saints' Day বা All Hallows Day র আগের দিনটিকে চিহ্নিত করে।

ভারতেও হলোইন

ভারতেও হলোইন

এখন কেবলমাত্র পশ্চিমী দেশগুলিতেই নয়, ভারতের মতো আরও অনেক দেশেও ধূমধাম করে হলোইন পালিত হয়। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বের খ্রিস্টানরা এই দিনটি পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে উদযাপন করেন । এদিন সেইন্ট , মহাপুরুষ ও শহীদদের স্মরণ করা হয়। সেইন্টদের সম্মান জানিয়ে, যারা এখনও স্বর্গে পৌঁছাননি তাদের আত্মার শান্তি কামনার জন্যে প্রার্থনা করা হয়।

আসলে হলোইন-এর উৎপত্তি প্রাচীন কেল্টিক উৎসব "সামহেন" থেকে । যা ছিল তাদের ফসল কাটার ক্রিয়া বা অনুষ্ঠান । কেল্টিক সম্প্রদায় প্রায় দু'হাজার বছর আগে অধিকাংশ বাস করত অধুনা আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর ফ্রান্সে। এই দিনটি গ্রীষ্মের ফসল কাটা, অন্ধকার এবং ঠান্ডা শীতের আগমন বোঝায়। মরসুমের শেষ হিসেবে হ্যালোউইন পালিত হত। এছাড়াও, এটি শীতের মাসগুলির সূচনাও চিহ্নিত করে। কেল্টস সম্প্রদায় বিশ্বাস করতেন যে নতুন বছরের আগের রাতে জীবিত ও মৃতের জগতের মধ্যে দূরত্ব থাকে না। অর্থাৎ জীবিতের সঙ্গে পরলোকগত ব্যক্তিরা মিলিত হন। ৩১শে অক্টোবর রাতে তারা সামহেন পরব বা উৎসব রীতি অনুযায়ী প্রতিপালন করেন । কেল্টিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১লা নভেম্বর।

হ্যালোইন-এর তারিখ এবং উদযাপন

হ্যালোইন-এর তারিখ এবং উদযাপন

প্রতি বছরই ৩১ অক্টোবর হ্যালোইন উদযাপিত হয়। আগেই উল্লেখ করেছি গ্রীষ্ম এবং শীত, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে সংযোগ চিহ্নিত করার জন্য হ্যালোইন উদযাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, হ্যালোউইনের দিনে জীবিত এবং মৃতের মধ্যে দূরত্ব ঘুচে যায় । আধুনিক যুগে, হ্যালোউইনের দিন বিভিন্ন ধরনের ভূতুড়ে পোশাক পরিধান করা, কুমড়ো খোদাই করা [ এরা বলে - Jack-o-lantern ], ভূতুড়ে গল্প বলা, ভৌতিক সিনেমা দেখা এবং বিভিন্ন ভূতুড়ে ক্রিয়াকলাপ করা হয়। মানে ভূতের কেত্তন আর কি !ভৌতিক ছবি ইত্যাদি সবেতেই ভয়াল ভীতিজনক কারবার। সমস্ত পরিবেশটি যেন গায়ে কাঁটা দেওয়া অশরীরী একটা প্রেতপুরীর বাতাবরণে ঢেকে ফেলা !

এখানে এই ভূতুরে উৎসবের দিনে শিক্ষক ছাত্রসহ সমস্ত কর্মীরা অদ্ভূতুরে কাল্পনিক চরিত্রের সাজে সজ্জিত হয়ে স্কুলে আসেন । আর একটা ব্যাপার হল - ঐ বিশেষ উপলক্ষে ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লজেন্স টফি ইত্যাদি সংগ্রহ করার একটা সামাজিক রীতি আছে। কিন্তু বাড়িগুলোর ভেতর বাইরে এমন কিম্ভূতকিমাকার ডেকরেশন এবং কুকুর বেড়াল শিয়াল পেঁচা এইসব প্রাণীর বিকট বিভৎস শব্দ ভেসে আসে আর সেন্সার লাগানো কঙ্কাল বা মাকড়শা এমন ভাবে লটকানো থাকে যে কাছে গেলেই ঝপাৎ করে গায়ে এসে পড়বে ! তাতে ছেলেদের ভ্যাবাচেকা খেয়ে ভয়ে হাত পা পেটের ভেতর সিঁধিয়ে যাবার উপক্রম। উপহার নেওয়া তো দূর অস্ত ! তবুও বাচ্চারা অভিভাবকদের সাথে এপাড়া ওপাড়ায় যায় এবং তাতে লাভ যেটা হচ্ছে - অপদেবতা ভৌতিক ভয়কে জয় করতে মনোবল বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এটা কিন্তু হলোইন উৎসব যাপনের পশ্চিমী দেশগুলির ছেলেমেয়েদের একটা বড় পাওনা।

এখানকার রাস্তায় বা পাড়ায় পাড়ায় মৃদু আলোয় চারপাশে ভূতপেত্নী, শাঁকচুন্নি ও কঙ্কালের গায়ে কাঁটা দেওয়া দৃশ্যের ছড়াছড়ি। হলোইন সাজানো বাড়ির দোড় গোড়ায় কবরখানার পাথরের ফলক আরআইপি, মাটির ওপর মড়ার খুলি বের করা কঙ্কাল, দরজা জানালা সর্বত্রই বাদুর, পেঁচা, মাকড়শার জাল ঝুল অথবা গাছে ঝোলানো নরকঙ্কাল। এইসব যত রকম ভৌতিক আতঙ্ক প্রবণ সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো হয়। চারিদিকে যেন কবরখানার পরিবেষ্ঠন ও ভূতেদের নাচানাচি বা ভূতের নেত্য বলতে যা বোঝায়। আর কুমড়োর খোঁদলে আলো দিয়ে এমন পিলে চমকানো অশরীরী, গা ছমছম করা পরিধি তৈরি করে যে দিনের বেলা যেমনই লাগুক না কেন রাতের অন্ধকারে হঠাৎই ক্ষীণ আলোয় ঐসব সাহেবী পাড়ায় হাঁটলে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হতে বাধ্য।

হলোইন উৎসব ইউরোপীয় ও মার্কিন সমাজ জীবনে সেই সুদূর অতীত থেকে আজও এমনভাবে সমৃক্ত হয়ে আছে যে এর সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করলে অনেকটাই ধারণা পরিস্কার হবে। উৎসবের মাস খানেক আগে থেকেই সেখানকার বিশাল সব দোকানের দরজার ওপরে লেখা - "Welcome Mortals". মলগুলিতে হাড় হিম করা ভূতপেত্নী, দত্যিদানার ছড়াছড়ি। যেমন - নরকঙ্কাল, মাথার খুলি দিয়ে ক্যান্ডেল, পোড়া কালো শুকনো মড়া গাছের ডাল, হ্যালোউইন গাছ, হ্যালোউইন গাড়ি, কফিন বক্স, কফিন ক্লাব, হন্টেড হাউস, RIP মার্কা গোরস্হানের ফলক, শুকনো লতাপাতার বোকের মাঝে ঝুলন্ত পেত্নীসুন্দরী, কালো বেড়াল, কোষ্টিকালো কাক যা - এখানে হ্যালোউইনের পাখি বলে মনে করা হয়। মানে যতরকম ভয়ঙ্কর ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় আর কি ! আর তো আছেই কমলা, কালো ও সাদা নানান রঙের এবং নানান সাইজের খোঁদল করা কুমড়ো। তারমধ্যে আবারও যেগুলোর গায়ে আবের মত এবড়োখেবড়ো তাকে এখানকার মানুষ বলেন - আগলি কুমড়ো। ঘর সাজানোর জিনিসের ভেতর কাপ, ডিস, কুশন, জামাকাপড়, উইচের হাঁড়ি, মোমবাতি, বাচ্চাদের রং করার ছোট ছোট

English summary
Know about the Halloween celebration
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X