ভারতের শহুরে গরিব মানুষরা করোনা ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না!
করোনাকালে চাকরি হারিয়েছেন দেশের বহু মানুষ। সেই মানুষের অধিকাংশই শহুরে গরিব শ্রেণীর। এদের মধ্যেও তরুণ প্রজন্মের মানুষজন বেশি। আবার এরপরই তালিকায় রয়েছেন বয়স্ক মানুষরা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে তরুণদের মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ১৭ শতাংশ। এবং বয়স্ক মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশ মানুষ চাকরি হারান। তবে এরা এবার চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন না।

এদিকে মধ্য বয়স্ক এবং বৃদ্ধি মিলিয়ে যদি দেখা হয় তাহলে চাকরি হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ এরাই। আর এদের অধিকাংশই আনলক পর্বে এখনও চাকরি খুঁজে পেতে ব্যর্থ। মহামারির জেরে মড়ক লেগেছে বিশ্বে। উপরন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও টালমাটাল। এরই মধ্যে বিশ্বে ফের আসতে চলেছে করোনা ভাইরাসের আরও একটি প্রবাহ। আশঙ্কা, যদি এর আগে ভ্যাকসিন না মেলে, তাহলে ফের বন্ধ হবে উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি। তলানিতে ঠেকবে চাহিদা।
আশঙ্কা, ২০০৮-২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের চেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি হতে পারে করোনার জেরে। এই পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সেক্টর, ই-কমার্স সেক্টর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২২-২৩ শতাংশ মানুষকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এদিকে চাকরি হারানোর ৯০ শতাংশ মানুষ ছিলেন ৪৪ বছরের নিচে। এই অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে না পাওয়ার খুবই বাজে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে শহুরে গরিব সমাজের মধ্যে। এদিকে চাকরি হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ উপার্জনের উপায় খুঁজে পেয়েছে। এবং সেই ৩৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে ২৬ শতাংশের অভিযোগ, চাকরি খুঁজে পেতে খুবই সমস্যা হয়েছে তাদের।
এছাড়া যারা লকডাউনে কাজ করছেন, তাদের খুব একটা স্বস্তি নেই। লকডাউনে কাজ করা প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তারা কাজের বিনিময়ে খুব কম টাকা পেয়েছেন অথবা কোনও টাকাই পাননি। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, শহরে থাকা ৪৩ শতাংশ মানুষ দিনযাপন করতে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। গ্রামে থাকা ৩৪ শতাংশ মানুষও ঋণ নিয়ে জীবযাপন করে।