কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থাগুলো, ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থাগুলো, ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
প্রচণ্ড খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। একসঙ্গে বহু মানুষের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এমনটাই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রাঞ্চবেস অনুসারে প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ সেক্টরে ২২,০০০ কর্মী ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন। তারমধ্যে শুধু স্টার্টআপ সেক্টরে ১২ হাজার ভারতীয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে আমেরিকায় কয়েক হাজার ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ চাকরি হারিয়েছেন। করোনা মহামারী ও লকডাউনের সময় বাণিজ্য প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেলেও সেই সময় বেশ কিছু সংস্থা লাভবান হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে অনেক সংস্থা বর্তমানে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক কর্মী একসঙ্গে চাকরি হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওলা, আনঅ্যাকাডেমি, ভেদান্তু, মোবাইল প্রিমিয়ার লিগের মতো বেশ কিছু ইউনিকর্ন কোম্পানি খরচ কমানোর নাম করে বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। পাশাপাশি ব্লিঙ্কইট, ফার আই, ট্রেলের মতো একাধিক স্টার্টআপ সংস্থা নতুন করে অনেক কর্মীকে নিয়োগ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলোর অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। ফান্ডিং উইনটারের মধ্য দিয়ে স্টার্টআপ সংস্থাগুলো যাচ্ছে।
ফান্ডিং উইন্টারের অর্থ হল যখন বিনিয়োগকারীরা স্টার্ট আপ সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে চলতে চায়। সেখানে নতুন করে লগ্নি করতে চায় না। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই উইন্টার ফান্ডিংয়ের কারণে ভারতে প্রায় ৬০ হাজার কর্মীর চাকরি যেতে পারে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, যেভাবে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে চলতি বছর ৫০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। খরচ কমানোর নাম করে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। নেটফ্লিক্সের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর করুণ পরিণতি শুধু ভারতে নয়। বিশ্বে বহু স্টার্টআপ সংস্থা খরচ কমানোর নাম করে কর্মী ছাঁটাই করছে। এই প্রসঙ্গে ব্লুমার্গের একটি প্রতিবেদনে ক্যাথিও গাও জানান, 'আমাদের সামনে অত্যন্ত কঠিন সময় আসছে। পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হবে তা এখন থেকে আন্দাজ করা কঠিন। এক চতুর্থাংশ, দুই চতুর্থাংশ নাকি তিন চতুর্থাংশ কর্মী কাজ হারাবেন কি না বোঝা যাচ্ছে না।
রাজস্ব ঘাটতির জেরে ভেঙে পড়েছে আর্থিক পরিকাঠামো, ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ কেন্দ্রের
তবে ভবিষ্যতের খারাপ সময়ের কথা মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তত থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর সময় অনেক সংস্থা ব্যাপক লাভবান হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তারা খরচ কমানোর নামে কর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টা করছেন।'