বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা, কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে অ্যামাজন সহ একধিক সংস্থা
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা, কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে অ্যামাজন সহ একধিক সংস্থা
সামনে কঠিন সময় আসছে। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। যার জেরে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আগেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে আর্থিক সঙ্কট তীব্র হবে। পরিস্থিতি সেই দিকেই এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে টুইটারের ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অ্যামাজনের তরফে নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েক মাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্মী নিয়োগ বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে বলে জানা গিয়েছে। এই আর্থিক সঙ্কটে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ সুদের হারের জন্য, ধীর অর্থনীতির জেরে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো নিয়োগ বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
অ্যামাজান
অ্যামাজনের কার্যনির্বাহী আধিকারিক অ্যান্ডি জ্যাসি জানিয়েছেন, বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। আগামী কয়েক মাস পর্যবেতক্ষণ চালানো হবে। অ্যামাজনের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান বেথ গ্যালেত্তি জানিয়েছেন, আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
টুইটার
আর্থিক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে টুইটার চলছিল। সম্প্রতি বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নিয়েছেন। তিনি শুরু থেকে ব্যয় সঙ্কোচনের জন্য টুইটারের কর্মী ছাঁটাইয়ের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। সম্প্রতি টুইটারের কর্মীরা মানসিক চাপে রয়েছেন। ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে। ইলন মাস্ক বাড়ি থেকে কাজ করার নীতি বাতিল করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি টুইটারের কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন।
ইন্টেল
ইন্টেল কর্পোরেশন আগামী বছরে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যয় কমাতে চাইছে। সেই কারণে একাধিক প্রকল্পে সংস্থাটি খরচ কমানোর পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্লু মার্গের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যয় কমানোর জন্য ইন্টেল কর্পোরেশন হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে পারে।
নিয়োগ বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত
ইনটেল, হোয়াটস অ্যাপ, অ্যামাজনের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা নিয়োগ বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা লিফট ইতিমধ্যে আমেরিকায় কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। লিফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন জিমার এবং লোগান গ্রিন বলেছেন, ধীর অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতির প্রকোপের বাইরে আমরা নেই। সংস্থাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিগেট টেকনোলজি হোল্ডিংস পিএলসি, কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভের সবচেয়ে বড় নির্মাতা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। সিইও ডেভ মোসলে বলেছেন, সংস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সিগেট কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটছে।