প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদের জন্যে টেটে বসতে আবেদন প্রায় ৭ লক্ষের! ভাঙল ২০১৭ সালের রেকর্ড
২০১৭ সালের টেটে আবেদনকারীর সংখ্যাও ছাপিয়ে গেল এবার! আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হতে চলেছে রাজ্য। ১১ হাজারের কিছু বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আর সেই পরীক্ষাতে বসতে আবেদন ৬ লাখ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী। যা র
২০১৭ সালের টেটে আবেদনকারীর সংখ্যাও ছাপিয়ে গেল এবার! আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হতে চলেছে রাজ্য। ১১ হাজারের কিছু বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আর সেই পরীক্ষাতে বসতে আবেদন ৬ লাখ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী। যা রেকর্ড বলছে শিক্ষামহল।
তবে বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে নেওয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্যের কাছে। যদিও ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সর্বস্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি নবান্নের সঙ্গেও শীঘ্রই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বৈঠকে বসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যাতে সুষ্ঠ ভাবে সমস্ত কিছু করা যায় সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও থাকতে পারেন বলে খবর।
২০১৭ সালে শেষ বার টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়
২০১৭ সালে শেষ বার টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই সময় প্রাথমিকের টেট দিয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার। এবার সেই সংখ্যাও ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ৬ লক্ষ ৯০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। নির্দিষ্ট একটি পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করেছেন এবার পরীক্ষার্থীরা। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাথমিকের টেটে বসার জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত আবেদন করার সময়সীমা ছিল। শেষ পর্যন্ত এই আবেদন জমা পড়েছে বলে জানাচ্ছে পর্ষদ,
কেন এত আবেদন?
একেবারে রেকর্ড সংখ্যায় আবেদনকারী টেটে বসতে চলেছে। কিন্ত্য কেন এত আবেদন? তথ্য বলছে এবার ডিএলএডের পাশাপাশি বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের টেট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আর সেই কারনেই এত সংখ্যায় আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন টেট হয়নি রাজ্যে। সেটাও একটা বড় কারণ। শুধু তাই নয়, এবার টেটে বসার জন্যে নির্দিষ্ট কোনও বয়স রাখা হয়নি। তবে প্রাথমিকে চাকরির নিয়োগের বয়সের উর্ধ্বসীমা ৪০। সব মিলিয়ে এবার নির্ভিগ্নে কথা বলাটাই বড় চ্যালেঞ্জ পর্ষদের কাছে।
অনেক বেশি সাবধানী পর্ষদ
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। এমনকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় এই শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। ফলে অনেক বেশি সাবধানী পর্ষদ। শুধু তাই নয়, একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সমস্ত প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফী করা হবে। শুধু তাই নয়, এই বছর কোনও সুপারিশ মেনে নেওয়া হবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি সমস্ত নিয়োগ মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে কেন সরানো হল সৌরভকে? হাইকোর্টে মামলা আইনজীবীর