কর্মী ছাঁটাইয়ের বিপরীতে গিয়ে এ বছর ৫৫০ জনকে নিয়োগ করবে ফোন পে
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিপরীতে গিয়ে এ বছর ৫৫০ জনকে নিয়োগ করবে ফোন পে
একদিকে যখন বড় বড় সংস্থাগুলি লকডাউনের মরশুমে কর্মী ছাঁটাই করতে শুরু করেছে, সেই সময় ফ্লিপকার্টের মালিকানাধীন ফোন পে এ বছর ৫৫০ জনকে নিয়োগ করবে। ফোন পে জানিয়েছে যে তারা তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করতেই এই নিয়োগ করছে তারা।
বিপরীত দিকে হেঁটেছে ফোন পে
জানা গিয়েছে, গুগল পে ও পেটিএমের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পেমেন্ট বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিযোগিতা করছে ফোন পে। এই আর্থিক সঙ্কটের সময়ও ফোন পে বেতন কাটেনি এবং চলতি মাস থেকে মূল্যায়ন পদ্ধতি শুরু করা হবে। ১৮০০ টিম সদস্যের মধ্যে অতিরিক্ত আরও ২০-৩০ শতাংশ মানুষকে যুক্ত করেছে ফোন পে। এটি ভারতের অনেক বড় বড় ইন্টারনেট সংস্থার ছাঁটাইয়ের বিপরীতে গিয়ে কাজ করেছে।
বেশ কিছু ভূমিকায় নিয়োগ করা হবে
ফোন পে-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিটিও রাহুল চারি বলেন, ‘গত দুই-তিন মাস আমাদের ব্যবসা প্রসারিত হয়েছে যে কারণে আমরা নিয়োগ করছি। আপনারা যদিও জানেন যে এখন আর্থিক পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয় এবং অনেক ভালো ব্যক্তিরাও চাকরি হারাতে বসেছেন।' সংস্থার পক্ষ থেকে ফোন পের গোটা বোর্ডের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, কর্পোরেট ফাংশান, সেলস, বিজনেস ডেভলপার ও মার্কেটিং-এর ভূমিকায় নিয়োগ করা হবে। চারি জানিয়েছেন, গত তিনবছরে তাঁদের অনেক ব্যবসাই পরিণত হয়েছে, তাই অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন শুরু করে এবং আর জন্য বিভিন্ন স্তরে লোকবলের প্রয়োজন।
ফোন পে–তে লেনদেন ইউপিআইয়ের মাধ্যমে
ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ফোন পে-তে লেনদেন চলে এবং ১৮৩টি ব্র্যান্ডের জন্য মিনি-ডিজিটাল স্টোরফ্রন্টও তৈরি করেছে। ফ্লিপকার্ট তার মার্কেটপ্লেস সত্তা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ফোন পে-তে সম্মিলিতভাবে ৯০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
৩০০ জন ইঞ্জিনিয়ারিং টিম নিয়ে শুরু হয়
ফোন পে প্রায় ৩০০ জন ইঞ্জিনিয়ারিং টিম দিয়ে শুরু করে এই সংস্থাকে দারুণ এক পর্যায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ধীরে ধীরে পুনর্গঠন করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ফোন পে-তে ৫০০ কর্মী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী অনাহারে দিন কাটাতে চলেছেন প্রায় ২৬ কোটি মানুষ, বলছে সমীক্ষা