ভারতে চার মাসে বেকারত্বের হার ঠিক কত, কী বলছে CMIE ডেটা
বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বের। করোনার কারণে বহু প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এতে বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। আবার চাকরি থাকলেও অনেকের বেতন কমেছে। সোমবার সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) এর তথ্যে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে দেশের বেকারত্বের হার চার মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গ্রামীণ বেকারত্বের হার কত?
বেকারত্বের হার নভেম্বরে ৭.0 শতাংশ থেকে ডিসেম্বরে ৭.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আগস্টে ৮.৩ শতাংশের পর সর্বোচ্চ। অনেক রাজ্যে করোনা ভাইরাসের নয়ারূপ ওমিক্রন বৈকল্পিক, সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের ঘটনা বৃদ্ধির পরে দেশে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং ভোক্তাদের মনোভাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহুরে বেকারত্বের হার ডিসেম্বরে ৯.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে যা আগের মাসের ৮.২ শতাংশ নেমেছে। যেখানে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৬.৪ শতাংশ ছিল তা বেড়ে হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। যা তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে।
CMIE ডেটা থেকে কী জানা গেল
অনেক অর্থনীতিবিদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পূর্ববর্তী প্রান্তিকে দেখা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বিপরীত করতে পারে। সরকার মাসিক পরিসংখ্যান প্রকাশ না করায় মুম্বাই-ভিত্তিক CMIE ডেটা অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
হরিয়ানায় বেকারত্বের সংখ্যাটা ঠিক কত
CMIE রিপোর্ট অনুসারে, হরিয়ানা ডিসেম্বরে বেকারত্বের চার্টের শীর্ষে রয়েছে, ৩৪.১ শতাংশ। রাজস্থানে (২৭.১), ঝাড়খণ্ড (১৭.৩), বিহার (১৬.০), এবং জম্মু ও কাশ্মীর (১৫.০)। জরিপের তারিখ অনুযায়ী পরিবারের প্রতিটি উপযুক্ত সদস্যের কর্মসংস্থান/বেকারত্বের অবস্থা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন CMIE।
শহুরে যুবকদের বেকারত্বের হার কত
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে এবং ২০২১ সালের জানুয়ারী ও মার্চ মাসে অর্থাৎ যে সময় লকডাউন চলছিল সেইসময় ১৫-২৯ বছর বয়সী শহুরে যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেকটাই বেড়েছিল। যা আগে ছিল ১৯.২ শতাংশ তা বেড়ে হয়েছে ২১.১ শতাংশ। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথম লকডাউন জারি করা হয়েছিল।