
আর নয় ওয়ার্ক ফ্রম হোম! সরকারি অফিসে বাধ্যতামূলক হল ১০০ শতাংশ উপস্থিতি
কলকাতাঃ স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। করোনা আতঙ্ককে কাটিয়েই রাস্তায় বের হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ধীরে ধীরে সমস্ত বেসিরকারি অফিসই খুলতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সরকারি কর্মীদের জন্যে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের এবার থেকে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। করোনা অবস্থায় মাত্র ৫০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল। কিন্তু আজ নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক রাজ্য সরকারি কর্মীদের।


৫০ শতাংশ উপস্থিতি
গত বছর বাংলায় সংক্রমণ করে হু হু করে বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নয়া গাইডলাইন জারি করে রাজ্য সরকার। গাইডলাইন অনুযায়ী, সব সরকারি অফিসে ৭০ শতাংশ নয়, ৫০ শতাংশ কর্মী হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণের জন্য কর্মী হাজিরা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার৷ কিন্তু পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হওয়াতে গত বছর মাঝামাঝি সময়েই কর্মী হাজিরা আরও কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়৷ বাকিদের বাড়িতে বসেই কাজ করার উপর গুরুত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই এভাবেই কাজ চলছিল সরকারি অফিসগুলিতে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আর এভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারনেই এবার ১০০ শতাংশ কর্মী হাজিরা বাধ্যতামূলক করল নবান্ন

কাজ বাড়ছে, প্রয়োজন লোকবলের
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকার প্রকল্প, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান সহ একাধিক এমন প্রকল্প। আর এই প্রকল্পগুলি যাতে সাধারন মানুষের কাছে ভোটের আগে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই কারনে প্রয়োজন সরকারি লোকের। আর সেই কারনে আর বাড়িতে বসে কাজ নয়, বরং ভোটের আগে একেবারে মাঠে নেমে কাজের লোক প্রয়োজন। আর সেই কারনেই সমস্ত সরকারি কর্মীদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি চান মুখ্যমন্ত্রী। লোকের জন্যে কাজ পড়ে থাকবে তা কখনই হতে পারে না বলে মত প্রশাসনের। সোমবার থেকেই সমস্ত সরকারি অফিসে ১০০ শতাংশ কর্মী উপস্থিতি হচ্ছে বাধ্যতামূলক।

সংক্রমণ কমছে, স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন৷ মঙ্গলবার ছিল ২০৩ জন৷ গত ২৪ ঘন্টায় ফের কিছুটা কমেছে৷ সব মিলিয়ে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৮১ জন৷ রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের৷ ফলে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। এই অবস্থায় সমস্ত সরকারি দফতর খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও সমস্ত সরকারি দফতর খোলা থাকলেও অনেক সময় কর্মীর কারনে পরিষেবা দেওয়া সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারনেই এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, সাধারন মানুষের মধ্যে অনেকটাই কমেছে আতঙ্ক। কাজের চাপে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় নবান্নও মনে করছে যে, বাড়িতে বসে কাজের দিন এবার শেষ। আর তাই এই নির্দেশিকা। এমনটাই মনে করছে সরকারি কর্মচারী মহল।
বাংলা জুড়ে বাড়ল তাপমাত্রা! রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় শীতের মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের