
ইনফোসিসে এবছরের নতুন হাজার হাজার নিয়োগ, করোনার মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাজার
দেশের কর্মসংস্থানের (jobs) ক্ষেত্রে বড় খবর। তথ্য প্রযুক্তির (information technology) অন্যতম বড় সংস্থা ইনফোসিস (infosys) জানিয়েছে, তারা এবছরে প্রচুর ফ্রেসার নিয়োগ করতে চলেছে। সংখ্যাটা ৪৫ হাজারের মতো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে আই টার্গেট ছিল ৩৫ হাজারের মতো।

বাজারের সুযোগ কাজে লাগানো হবে
ইনফোসিসের সিওও ইউবি প্রবীন রাও বলেছেন, বাজারের চাহিদা পুরোপুরি কাজে লাগাতে প্রচুর কলেজ স্নাতকদের নিয়োগ করা হবে। সংখ্যাটা ৪৫ হাজারের মতো বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের সময়ে ইনফোসিসের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা প্রায় ৩৫ হাজার কলেজের স্নাতক নিয়োগ করতে চলেছে। ডিজিটাল ট্যালেন্টের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রও কর্মী সংখ্যা চ্যালেঞ্জের মুখে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

কর্মী স্বার্থেও পদক্ষেপ
শুধু নতুন নিয়োগই নয়, বর্তমানে যাঁরা সেই সংস্থায় কাজ করেন, তাঁদের স্বার্থেও পদক্ষে গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখা, রিস্কিলিং প্রোগ্রাম, যথাযথ ক্ষতিপূরণ, যাঁরা চাকরি করছন, তাঁদের সুযোগ বৃদ্ধির কথাও বলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত এই পরিস্থিতি এমন একটা সময়ে তৈরি হল, যখন দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে কাজ করার লোকের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রযুক্তি প্রতিভার খোঁজে কার্যত যুদ্ধ চলছে।

কর্মীর চাহিদা বাড়ছে
দিনের পর দিন কর্মীর চাহিদা বাড়ছে ইনফোসিসে। কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে কর্মীর চাহিদা ছিল ২০.১ শতাংশের মতো। তুলনামূলক ভাবে যা একবছর আগে ছিল ১২.৮ শতাংশের মতো। সেপ্টেম্বরের শেষে ইনফোসিসে কর্মী সংখ্যা ২,৭৯, ৬১৭ জন।

বেড়েছে আর্থিক লাভ
ইনফোসিসের কর্মীদের মধ্যে অন্তত ৮৬ শতাংশের একটি করে ভ্যাকসিনের ডোজ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে কর্মস্থলে এবার ভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিওও। তিনি বলেছেন, সংস্থার তরফে কর্মীদের উৎপাদনশীল, সাইবার সুরক্ষা, সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং কর্ম-জীবনে ভারসাম্য রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রতিভা কৌশলও ভিন্ন।
বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ইনফোসিসে আয় বেড়েছে। যে আয় ছিল ১৪-১৬ শতাংশের মতো। তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.৫ থেকে ১৭.৫ শতাংশের মতো হয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগেই বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার মন্দা কাটিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই চাহিদা বাড়ছে।
বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা কেন্দ্রের! বাংলা-পঞ্জাবের থেকে কেন আলাদা গুজরাত, উঠছে প্রশ্ন