কাজের খোঁজে ৪০ দিনে সরকারি পোর্টালে নাম লেখালেন প্রায় ৬৯ লক্ষ মানুষ! কিন্তু আদৌ মিলছে কি কাজ
করোনা ধাক্কায় যখন ধুঁকছে দেশীয় অর্থনীতি, একাটানা পারাতনের সম্মুখীন জিডিপি প্রবৃদ্ধি তখন দেশের যুব সমাজকে নতুন করে দিশা দেখাচ্ছে মোদীর আত্মনির্ভর ভারত মিশন। দেশের প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিলেও তার সফল বাস্তবায়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। এমতাবস্থায় ১১ জুলাই কেন্দ্র কর্তৃক চালু করা এএসইইএম পোর্টালে ৬৯ লক্ষেরও বেশি বিভিন্ন পেশার কর্মহীন মানুষকে নাম লেখাতে দেখা গেল।
কি এই এএসইইএম?
এএসইইএম, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় আত্মনির্ভর দক্ষ কর্মচারী নিয়োগকারী ম্যাপিং পোর্টাল। করোনা সঙ্কটের মাঝেই দেশের যুব সমাজকে নতুন কাজের দিশা দেখাতে এই পোর্টালটি গত ১১ই জুলাই কেন্দ্রের তরফে সরকারি ভাবেই চালু করা হয়। আর বর্তমানে তাতেই আশায় বুক বেঁধেছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের কর্মপ্রার্থীরা। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষ নাম লেখালেও বাস্তবচিত্র কিন্তু অন্য কথাই বলছে।
সত্যিই কি মিলছে কাজের সুযোগ?
সূত্রের খবর, গত মাসে শুধুমাত্র ১৪ ই আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে মোদী সরকার কর্তৃক চালু করা এই সরকারি পোর্টালে নাম লেখান সাত লাখেরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে সঠিক কাজের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৬৯১জন। এদিকে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রকের অপর একটি তথ্য বলছে, ২১শে অগাস্ট পর্যন্ত পোর্টালে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের সংখ্যাও ১১.৯৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে যা ছিল ৬১.৬৭ লক্ষ তা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৬৯ লক্ষ।
৪০ দিনে নাম লেখালেন প্রায় ৬৯ লক্ষ মানুষ
এ ছাড়া গত ৪০ দিনে প্রায় ৬৯ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক পোর্টালে নাম নিবন্ধন করলেও, কেবল ১.৪৯ লক্ষকে চাকরির খোঁজ দেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি পাকাপাকি ভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন ৭,৭০০ জন। এদিকে পোর্টালটি কেবল অভিবাসী শ্রমিকদেরই কাজের সুযোগ দেবে এমনটা নয় বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। যে কোনোও কর্মপ্রার্থী ব্যক্তিই এখানে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন পেশায় কাজের সুযোগ রয়েছে?
এই পোর্টালে কাজের তালিকায় রয়েছে দর্জি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ফিল্ড-টেকনিশিয়ান, সেলাই মেশিন অপারেটর, কুরিয়ার ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ, নার্স, অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ সহ বিভিন্ন পেশার কাজ। প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রার্থীর যোগ্যাতার ভিত্তিতে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে বলে খবর।
কাজের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ
এদিকে লকডাউনের জেরে গত কয়েক মাসে একাধিক রাজ্যে থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়ায় বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মচারীর ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কর্ণাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ু। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে গত ১৪ থেকে ২১শে অগাস্টের মধ্যেই কাজের চাহিদা প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে।