প্লেসমেন্টের ভরা মরসুমেও চাকরির প্রস্তাব কমছে আইআইটির পড়ুয়াদের
করোনা প্রভাবে বিধ্বস্ত দেশের নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। হাতে চাকরির প্রস্তাব থাকা স্বত্ত্বেও বাতিল হচ্ছে সেই চাকরি। এ বছর মার্চ মাসে আইআইটি এবং আইআইএম-এর তরফে চার হাজার পড়ুয়াদের চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হলেও করোনার জেরে সে সবই আজ বন্ধ।
দেখা যাচ্ছে, এই চূড়ান্ত পর্যায়েও প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনই পাচ্ছেন না কোনোও চাকরির প্রস্তাব। আইআইটি কানপুরের স্টুডেন্টস প্লেসমেন্ট অফিসের চেয়ারম্যান কন্টেশ বালানী বলেন, "এটি একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতি।" এমনকি, অনেক আইআইটি পড়ুয়াদের চাকরি বাতিল ও করা হয়েছে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি গুলি থেকে।
অন্যদিকে, গত দুদিন আগেই মাদ্রাজ আইআইটির ছয় ছাত্রকে দেওয়া চাকরির প্রস্তাব বাতিল করেছে হাউস্টন, টেক্সাসের একটি সংস্থা। চলতি শিক্ষাবর্ষে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে ২৫২টি সংস্থার পক্ষ থেকে মোট ৯২৪জন শিক্ষার্থীকে চাকরির অফার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনশোর বেশি বাকি শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাজ আইআইটি। গত বছর ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে ৯৩২ জন শিক্ষার্থী চাকরির অফার পেয়েছিলেন।
বম্বে-আইআইটি’র তরফেও জানানো হয়েছে তাদের ক্যাম্পাসেও কোনও চাকরির নিয়োগ খারিজ হয়নি। কেবলমাত্রা আপাতত ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে সমস্ত প্রক্রিয়া। গুয়াহাটি-আইআইটি’র তরফেও পড়ুয়াদের আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়ার চাকরিতে নিয়োগ কিংবা ইন্টার্নশিপের বিষয় খারিজ করা হয়নি। কেবলমাত্র সাময়িক পরিস্থিতির কারণে কিছু সংস্থা তাদের জয়েনিং ডেট স্থগিত রেখেছে বা পিছিয়ে দিয়েছে। একই কথা জানিয়েছে আইআইএম-বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষও।