HS exam 2023: ২৩ সাল থেকেই বছরে দু'বার উচ্চ মাধ্যমিক? বড় সিদ্ধান্ত ছয় তারিখ
বছরে এবার দু'বার উচ্চ মাধ্যমিক! এমনটাই ভাবনা চিন্তা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল একটা পরিবর্তন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ছেলে-মেয়েরাও যাতে প্রতিযোগিত
বছরে এবার দু'বার উচ্চ মাধ্যমিক! এমনটাই ভাবনা চিন্তা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল একটা পরিবর্তন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ছেলে-মেয়েরাও যাতে প্রতিযোগিতাতে এগিয়ে থাকে সে কারণে সিলেবাস নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় এবার বছরে দুবার উচ্চ মাধ্যমিক নেওয়ারও পরিকল্পনা সংসদের। আগামী ২০২৩ সাল থেকেই এমন ভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।
আইসিএসসি এবং সিবিএসসি তাঁদের সিলেবাস অনেকটাই বদলেছে। আধুনিক এবং বোধগম্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, আইসিএসসি এবং সিবিএসসি'র বছরে দুবার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সেমিস্টার ১ এবং সেমিস্টার দুই, এভাবে মূলত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আর সেই ধাঁচেই এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া'র ভাবনা চিন্তা শুরু করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। তবে এখনও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই খবর। সবটাই আলোচনার স্তরে বলে খবর।
তবে আগামী ছয় তারিখ রাজ্য সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। যেখানে নয়া শিক্ষা-নীতি তৈরি করা নিয়ে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এই কমিটিই মূলত আগামী ছয় তারিখ বৈঠকে বসবে। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু'রও। সেখানে এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে এখনই স্পষ্ট ভাবে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ছয় তারিখ উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আর তা হলেই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
তবে প্রকাশিত খবর বলছে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত এগোতে চাইছে। ২০২৩ সাল থেকে যদি কার্যকর করতে হয় এই সিদ্ধান্ত তাহলে একগুচ্ছ কাজ রয়েছে। বিশেষ করে সিলেবাস তৈরি সহ বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে। হাতে সময় কম রয়েছে। সেক্ষেত্রে ছয় তারিখের এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষায় পরিবর্তন আসা প্রয়োজন। এতে পড়ুয়াদের উপর চাপ কমবে এবং ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা'র ক্ষেত্রেও বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে একটা রাস্তা খুলে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।