সেনাবাহিনীতে এবার নিয়োগে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প! ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর
দেশের প্রতিরক্ষায় (defence) তিন বাহিনীর জন্য নিয়োগে অগ্নিপথ প্রকল্পের (agnipath scheme) ঘোষণা হল মঙ্গলবার। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়োগ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।
দেশের প্রতিরক্ষায় (defence) তিন বাহিনীর জন্য নিয়োগে অগ্নিপথ প্রকল্পের (agnipath scheme) ঘোষণা হল মঙ্গলবার। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়োগ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এই প্রকল্পের অধীনে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে শুধুমাত্র ৪ বছরের জন্য।
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে এব্যাপারে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফল দেশের যুবকরা বেশি সংখ্যায় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সমগ্র জাতি, বিশেষ করে যুবকরা সশস্ত্র বাহিনীকে সম্মানের চোখে দেখে। তিনি বলেন প্রত্যেক শিশুই তাদের জীবনের কোনও না কোনও সময়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরার আকাঙ্ক্ষা করে।
দক্ষতার সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের ফলে যুবকদের নতুন প্রযুক্তির মাঝ্যমে প্রশিক্ষণ দিতে এবং সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্য বিভিন্ন সেক্টরে নতুন দক্ষতার সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছএন, উয়ুথফুল প্রোফাইলের সুবিধার পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হতে পারবে দেশের যুবকরা। পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস লেভেলও বাড়বে।
উৎপাদনশীলতা ও জিডিপি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে মাধ্যমে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রোফাইল ভারতীয় জনসংখ্যার প্রোফাইলের মতো তরুণ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থনীতিতে দক্ষ কর্মশক্তির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অগ্নিপথ প্রকল্পের সঙ্গে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি হবে। এক্ষেত্রে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন রাজনাথ সিং।
দুবছর ধরে আলোচনার পরে প্রকল্পের ঘোষণা
মোদী
সরকার
গত
দুবছর
ধরে
বিভিন্ন
পর্যায়ে
এই
প্রকল্প
নিয়ে
আলোচনা
চালিয়েছে।
তারপরেই
এদিন
এই
প্রকল্প
নিয়ে
ঘোষণা
করা
হয়েছে।ষ
এই
প্রকল্পের
অধীনে
যাঁদের
নিয়োগ
করা
হবে,
তাঁদেরকে
বলা
হবে
অগ্নিবীর।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য
বর্তমানে
সেনাবাহিনীর
শর্ট
সার্ভিস
কমিশনের
অধীনে
১০
বছরের
জন্য
তরুণদের
নিয়োগ
করা
হয়।
তবে
তা
১৪
বছর
পর্যন্ত
বাড়ানো
যায়।
সেনা
প্রধান
মনোজ
পাণ্ডে
বলেছেন,
এই
প্রকল্পের
লক্ষ্য
হল
সশস্ত্র
বাহিনীতে
নিয়োগের
ক্ষেত্রে
একটি
দৃষ্টান্তমূলক
পরিবর্তন
আনা।
১.৫ বছরে ১০ লক্ষ নিয়োগ
প্রসঙ্গত এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, আগামী দেড় বছরের মধ্যে কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকারি বিভাগে অন্তত ১০ লক্ষ নিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সব সরকারি বিভাগে মানবসম্পদ পর্যালোচনার পরে এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও টুইটে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: শরদ পাওয়ার কি সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী? তৃণমূলের পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা