গত চার বছরে ভারতীয় স্টার্ট আপ সংস্থা গুলিতে চিনা বিনিয়োগ প্রায় ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
চিন ভারত সংঘাতের আবহেই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে গোটা দেশ জুড়েই। লাদাখে সেনা সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ভারতের বেশিরভাগ মানুষই চাইছেন চিনের সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করুক ভারত সরকার। কিন্তু বাস্তব চিত্র খানিক অন্য কথাই বলছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে তথ্য এবং বিশ্লেষণ সংস্থা গ্লোবালডাটার তথ্য বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে আনছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে। গত চারবছরে দেশীয় স্টার্ট আপ সংস্থা গুলিতে প্রায় ১২ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে চিনা বিনিয়োগ। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে এই খাতে চিনা বিনিয়োগের পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৮.১ কোটি মার্কিন ডলার। সেটাই ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে চিনে ভারতের বিনিয়োগ ও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক মাধ্যমের উপর নির্ভর করে গত তিন বছরে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গড়ে দ্বিগুণ অঙ্কে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে চিনের সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল্য ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। ভারতের বেইজিং দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও এই তথ্য পোস্ট করা আছে।
গ্লোবালডাটা জানিয়েছে, ভারতে ব্যবসারত ২৪টি ইউনিকর্ন সংস্থার মধ্যে ১৭ টি স্টার্টআপ সংস্থাতেই রয়েছে বড় পরিমাণের চিনা বিনিয়োগ। প্রধানত আলিবাবা এবং টেনসেন্ট থেকেই এই জাতীয় বিনিয়োগ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। আলিবাবা একাই পেটিএম, স্ন্যাপডিল, বিগব্যাসকেট এবং জোমাটোর মতো সংস্থা গুলিতে গত কয়েক বছরে প্রায় ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে ওলা, সুইগি, হাইক, ড্রিম ১১ এবং বাইজুর মতো অ্যাপ গুলিতে ২৪০ কোটির বিনিয়োগ করেছে টেনসেন্ট।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারত-চিন বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। যদিও ২০১৮ সালে এই পরিমাণ আরও ৩.২ শতাংশ বেশি ছিল। ওই বছর দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন চিন হল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ভারতের মোট আমদানির পরিমাণের মধ্যে চিন থেকেই ১৬% পণ্য আমদানি করা হয়। সেখানে ভারতের মোট রফতানি যোগ্য পণ্যের মধ্যে চিন মাত্র ৩.২শতাংশ পণ্যের ভাগীদার।