ভারতের শ্রমশক্তি ক্রমেই মধ্যবয়স্ক ও কম শিক্ষিতদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে, দাবি রিপোর্টের
ভারতের শ্রমশক্তি ক্রমেই মধ্যবয়স্ক ও কম শিক্ষিতদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে, দাবি রিপোর্টের
ভারতের শ্রমশক্তি মূলত মধ্যবয়স্ক ও কম শিক্ষিতদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমটিই-তরফে জানানো হয়েছে, এই রিপোর্ট মহামারীর ঠিক আগেটায় করা হয়েছে। সিএমটিই-এর তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ প্রজন্ম সঠিক সময়ে নিজের জন্য চাকরি নির্বাচন করতে পারছেন না বা কর্মক্ষেত্রে দেরিতে প্রবেশ করছেন। সেই কারণেই ভারতের শ্রমশক্তি মূলত মধ্যবয়সীদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
কী বলছে রিপোর্টে
সিএমটিই রিপোর্ট অনুসারে ২০১৫-১৬ সালে ভারতের ৪২ শতাংশ কর্মী ছিল চল্লিশ ও পঞ্চাশের কোটায়। ২০১৯-২০ সালে সেই সংখ্যা ৫১ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০২১-২২ সাল অর্থাৎ করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে। অন্যদিকে, ২০১৬-১৭ সালে ভারতের ১৭ শতাংশ শ্রমশক্তি ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে আটকে ছিল। কিন্তু ২০২১-২২ সালে তা আরও কমে যায়। ১৩ শতাংশে নেমে যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের বিলম্বের অন্যতম কারণ হতে পারে উচ্চশিক্ষা।
কমছে শিক্ষাগত যোগ্যতা
সিএমটিই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কর্মশক্তি ক্রমেই মধ্যয়স্ক কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। যা ভারতের জন্য ভালো খবর নয়। এরফলে দেশে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়। সিএমটিই-এর তরফে জানানো হয়েছে, সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কর্মকশক্তিতে শিক্ষগত যোগ্যতার অবনতি হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১২.৯ শতাংশ কর্মী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ। ২০১৮-১৯ সালে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.৪ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে আবার তা নেমে ১৩.২ শতাংশে পৌঁছয়। ২০২০-২১ সালে তা আংশিকভাবে কিছুটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.২ শতাংশ।
কর্মীদের বেশিরভাগে সর্বোচ্চ উচ্চমাধ্যমিক পাশ
সিএমটিই-এর তরফে জানানো হয়েছে, যদি শ্রমশক্তি ক্রমাগত বয়স্ক ও কম শিক্ষিতদের মধ্যে আবর্তিত হয়, সেক্ষেত্রে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। সিএমটিই-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় কর্মীদের বেশিরভাগ মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ। ভারতের মোট শ্রমশক্তির ২০১৬-১৭ সালে ২৮ শতাংশের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ শতাংশ। একইভাবে যাদের সর্বোচ্চ শিক্ষার মান ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির মধ্যে ২০১৬-১৭ সালে তার পরিসংখ্যান ছিল ১৮ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা একলাফে বেড়ে যায় ২৯ শতাংশ। সিএমটটিই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। একদিকে যখন ভারতে ছাত্রের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, সেই সময় কর্মীদে শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
কেন্দ্রের অনুদানের টাকায় জামায় 'বিশ্ব বাংলা লোগো'! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে নালিশ শুভেন্দুর