দেশে খারাপ হচ্ছে চাকরির বাজার, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কার মধ্যেই কর্মী নিয়োগ কমেছে ১ শতাংশ
দেশে খারাপ হচ্ছে চাকরির বাজার, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কার মধ্যেই কর্মী নিয়োগ কমেছে ১ শতাংশ
বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কার মধ্যেই দেশে উৎসবের মরশুম আসতে চলেছে। তারমধ্যেই সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতি মাসে ভারতে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের হার এক শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলে ভারতে নতুন করে বেকারত্বের হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উৎসবের আগে অনেকের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সেক্টরে কমছে কর্মীর চাহিদা
সোমবার মনস্টার এমপ্লয়মেন্ট ইনডেক্স একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন নেই। কিছুদিন আগেই একাধিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছিল। বর্তমানে কর্মীদের বরখাস্ত করে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে সংস্থাগুলো। রিপোর্টে বলা হয়ছে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলো দক্ষ কর্মীর চাহিদা -৬ শতাংশ। এছাড়াও দেশে প্রযুক্তি সংস্থার পাশাপাশি ভারতে সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও টেলিকম সংস্থায় (-৩ শতাংশ) দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বা উৎপাদন ক্ষেত্রে (-১৬ শতাংশ), ক্রয়, লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেনের ক্ষেত্রে (-১৪ শতাংশ), স্বাস্থ্য পরিষেবায় (-১২ শতাংশ) দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। অর্থাৎ এই সেক্টরগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে একাধিক কর্মক্ষেত্রে কর্মীর চাহিদা কমেছে। মিডিয়া ও এন্টারটেইমেন্ট শিল্পের চাহিদা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা -২৫ শতাংশ রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, সিমেন্ট লোহা ও ইস্পাত নির্মাণ ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা -২৪ শতাংশ।
পর্যটন শিল্পে বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদা
দেশের বেশিরভাগ সেক্টরে যখন কর্মীর চাহিদা কমছে। বলা যেতে পারে, ব্যাপক পরিমাণে কর্মী ছাঁটাইয়ের একটা আশঙ্কা রয়েছে, সেই সময় হাতে গোনা কয়েকটি ক্ষেত্রে নতুন করে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। কলসেন্টারগুলোতে কর্মী চাহিদা ১০ শতাংশ রয়েছে। অন্যদিকে, ভ্রমণ ও পর্যন্ত ক্ষেত্রে কর্মীর চাহিদা প্রায় ৮ শতাংশ। রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রের নতুন করে কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে দেশে সর্বাধিক কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা রাসায়নিক শিল্পে। এই শিল্পে ৩২ শতাংশ দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
কর্মসংস্থানের দিক থেকে পিছিয়ে কলকাতা
শহরের হিসেবে হায়দরাবাদ(৮ শতাংশ), চেন্নাই (৪ শতাংশ), দিল্লি ও এনসিআরে(৬ শতাংশ) বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী নিয়োগ চলছে। এখানে দক্ষ কর্মীদের চাকরি পাওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও পুনে ও কোচিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। একাধিক সেক্টরে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী নিয়োগ চলছে। বেঙ্গালুরু ও বরদায় কর্মসংস্থানের দিক থেকে মোটেই সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। অন্যদিকে, মেট্রো শহরগুলোতে কর্মসংস্থানের দিক থেকে সব থেকে নিচের দিকে অবস্থান করছে কলকাতা (-১১ শতাংশ)।