করোনার প্রভাবে চাকরি হারিয়েছেন ১২.২ কোটি ভারতবাসী, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিশ্ব আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ জীবনে। বিশ্বে ৫৫.৫ কোটি শ্রমিক এবং ২০ কোটি ছাত্রছাত্রীর উচ্চশিক্ষায় প্রভাব পড়েছে।
বিশ্ব আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ জীবনে। বিশ্বে ৫৫.৫ কোটি শ্রমিক এবং ২০ কোটি ছাত্রছাত্রীর উচ্চশিক্ষায় প্রভাব পড়েছে। ভারতে বেকারত্বের হার মে মাসের শুরুতে পৌঁছে গিয়েছে ২৭.১ শতাংশে। অন্যদিকে মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১২.২ কোটি ভারতবাসী তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
করোনা সংক্রমণে ৩০ টি রাজ্যের মধ্যে ৯ টির অবস্থা খারাপ! ৪ রাজ্যকে জরুরি পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৩.৭৫ কোটি ছাত্র
করোনা সংক্রমণের জেরে ৩.৭৫ কোটি ছাত্র ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এসব ছাত্রছাত্রীরা সবাই স্কিল কোর্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চাকরি ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে দক্ষতা বিকাশে ব্যাপক কাজ করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সেখান থেকে ফিরে ওয়ার্কফোর্সের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
প্রভাব ব্যবসা, প্রযুক্তি, ডেটা সায়েন্সে
ব্যবসা, প্রযুক্তি, ডেটা সায়েন্সে ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। যা কিনা অন্য সব কিছুর থেকে আলাদা। সরকারের কাছে নথিভুক্ত হওয়া দুই তৃতীয়াংশই এই তালিকাভুক্ত।
পিছিয়ে পড়ছে ভারত
দুর্ভাগ্যক্রমে এই ক্ষেত্রগুলিতেই ভারত পিছিয়ে পড়ছে। এইসব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার জেরে ভারতীয় সংস্থাগুলির বছরে ক্ষতি ৩৩২ বিলিয়ন টাকা। ভারত পিছিয়ে পড়েছে বিশেষ করে ডেটা ম্যানেজমেন্টে। ভারতের স্থান এখন বিশ্বে ৫৮ তম। নাইজেরিয়া ও ফিলিপিন্সের থেকে সামান্য ভাল।
ব্যবসায়িক প্রযুক্তিতে এগিয়ে ভারত
তবে এই পিছিয়ে পড়ার মধ্যেও ভাল খবরও রয়েছে। ভারতে প্রতিবেশী চিনের তুলনায় ব্যবসা ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে। বিজনেস ডোমেনে ভারতের স্থান যেখানে বিশ্বে ৩৪ তম, সেখানে চিনের স্থান ৪৫ তম। টেকনোলজি ডোমেনে ভারতের স্থান ৪০ তম, সেখানে চিনের স্থান ৫০ তম।
লকডাউনের জেরে কেবল এপ্রিলেই দেশে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটি মানুষ। বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। এঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি কাজ হারিয়েছেন, দৈনিক মজুরি পান এমন শ্রমিকরা। এছাড়াও অপেক্ষাকৃত ছোয় সংস্থায় কাজ করেন এমন ব্যক্তিরাও কাজ হারিয়েছেন। হকার, রাস্তার বিক্রেতা, হস্তশিল্প, নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা কাজ হারানোর গলে রয়েছেন।
লকডাউনে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ ভারত। যত বেশি মানুষ ভাইরাসের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন, তার থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন অনাহারে। বেসরকারি সমীক্ষা বলছে ৮০ শতাংশের বেশি পরিবারের রোজগার হঠাৎই থমকে গিয়েছে।
আইপিই গ্লোবালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বজিৎ সিং বলেছেন, কয়েক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র দূরীকরণে ভারত সরকারের সমস্য় প্রচেষ্টায় লকডাউন জল ঢেলে দিয়েছে। আপাতত অবস্থার উন্নতির কোনও রাস্তা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।