বাতিল হচ্ছে ২ হাজারের নোট ? দেশজোড়া চাপানউতরের মাঝেই রাজ্যসভায় নয়া তথ্য কেন্দ্রের
গুজবটা ছড়াচ্ছিল চলতি বছরের শুরু থেকেই। শোনা যাচ্ছিল ২০১৬ পর ফের নোটিবন্দির শিকার হতে পারে গোটা দেশ। ফের বাতিল হয়ে যেতে পারে ২০০০ টাকার নোট। প্রসঙ্গত, বর্তমানে হাজার টাকার নোট ছাপানো অনেকটাই কমিয়ে এনেছে কেন্দ্র। কিন্তু নতুন নতুন সংখ্যা হ্রাস পেলেও এখনই এই নোটকে বাতিলের খাতায় ফেলা হচ্ছে না বলে শনিবার লোকসভায় জানান কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

এদিকে গত বছরের শেষ দিকেও এই বিষয়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি গুজব ছড়ায়। একাধিক মেসেজে দাবি করা হয় বাতিল করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ এর পর থেকে ব্যাঙ্কেও আর বদলানো যাবে না এই নোট। যদিও তখনই আরবিআই জানায় এই তথ্য পুরোপুরি ভুয়ো। এরকম কোনও সিদ্ধান্তই সরকারি ভাবে নেওয়া হয়নি।
এদিকে এই বছরের মাঝামাঝি কেন্দ্র জানায় ২০০০ টাকার নোটের মাধ্যমে আর্থিক তছরূপ ও কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ফের মাঝাচাড়া দিচ্ছে। বাড়ছে কালো টাকার পরিামাণও। ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদও শোনা যায় কেন্দ্র-আরবিআই যৌথ উদ্যোগেই এই নোট ছাপানো বন্ধ করা হচ্ছে। যদিও পরবর্তীতে এই তথ্যের যথাযথ কোনও ভিত্তি পাওয়া যায় না।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত একটিও ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়নি। যদিও তাই বলে এখনই এই নোটকে বাতিলের খাতায় ফেলা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করল কেন্দ্র। এদিকে সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান শুরু থেকেই এই বড় মাপের নোট ছাপানোয় সায় ছিল না মোদীর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন এর দ্বারা বাজারে নগদের যোগান অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব। তাই খানিক অনীহা সত্ত্বেও তাতে রাজি হন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে চলতি অর্থবর্ষের শুরুতে আরবিআই-র সূত্র মতে দেশের মোট অর্থরাশির ৫১ শতাংশই ৫০০ টাকার নোট, সেখানে ২ হাজারের নোটে রয়েছে মোট ৩১.২ শতাংশ অর্থরাশি। যদিও বর্তমানে যে কোনও ধরনের নতুন নোট ছাপানো সাময়িক ভাবে স্থগিত করা রয়েছে বলেও জানান অনুরাগ ঠাকুর। করোনা মহামারী ও লকডাউনের কারণে আরবিআই-র নির্দেশিকা মেনে ২৩শে মার্চ থেকে ৩রা মে পর্যন্ত সাময়িক ভাবে নোট যে কোনও নোট ছাপানোই বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্র ও রাজ্য গুলির পরামর্শ মেনে ৪ঠা মে থেকে ফের ধাপে ধাপে মুদ্রণ প্রক্রিয়া শুরু হয় বলেও জানা যাচ্ছে।

Fact Check
দাবি
2000 Bank note will be banned
সিদ্ধান্ত
Totally False News, govt clarifies