ক্রিকেটে আসার আগে এই ক্রিকেটাররা কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন, জানেন
ক্রিকেটে আসার আগে এই ক্রিকেটাররা কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন, জানেন
আজ যে সকল ক্রিকেটারদের বিশ্ব জোড়া নাম তা কিন্তু কেরিয়ার শুরুতে ছিল না। অনেক কষ্ট করেই নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হয়েছে। ক্রিকেটে নাম লেখানোর আগে এই সমস্ত ক্রিকেটাররা নানান পেশায় যুক্ত ছিলেন। এরা কঠোর পরিশ্রম, আবেগ, ভালোবাসা দিয়ে নিজেদের কেরিয়ার সুন্দর করেছিলেন। জেনে নিন সেইসব তারকাদের নাম।
মিচেল জনসন
মিচেল জনসনের নাম আপনারা প্রায় সকলেই শুনেছেন। সফল ফাস্ট বোলারদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জানেন ক্রিকেট জগতে আসার আগে তিনি ট্রাক চালাতেন। টেস্ট ফরম্যাটে ৩১৩ উইকেট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে ২৩৯ উইকেট তাঁর।
ব্র্যাড হজ
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হজ। ক্রিকেট মাঠে নামার আগে তিনি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। ৩১ বছর বয়সে তিনি তাঁর এই কর্মজগতে পা রাখেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কিংস পঞ্জাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
ডোয়েন লেভেরক
ডোয়েন তাঁর কেরিয়ার শুরুর আগে তিনি পুলিশে কাজ করতেন। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে তাঁর সুন্দর ক্যাচের জন্য তিনি সকলের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। তারপর তিনি বারমুডার হয়ে ৩২টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি ১১১ রান করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং একজন বাঁহাতি স্পিনার। তিনি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে ৩৪ উইকেট নেন।
শেলডন কটরেল
শেলডন হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার ছিলেন। তাঁর আগে তিনি একজন জ্যামাইকান প্রতিরক্ষা সৈনিক ছিলেন। তিনি আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ সালে তাঁর দক্ষতা দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন।
শেন বন্ড
জানেন নিশ্চয়ই নিউজিল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন শেন। কিন্তু ক্রিকেট দলে আসার আগে তিনি ছিলেন পুলিশ অফিসার। ৮২ টি ওডিআই ম্যাচে বন্ডের ১৪৭ টি উইকেট ছিল ও ২০ টি-টোয়েন্টিতে ২৫ টি উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিনি ১৫৬.৪ কি.মি / ঘ গতিতে বোলিং করে দ্রুততম বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ছিলেন।
ইয়ান চ্যাপেল
ইয়ান
চ্যাপেল
দক্ষিণ
অস্ট্রেলিয়ার
আনলি
এলাকায়
জন্মগ্রহণকারী
সাবেক
ও
বিখ্যাত
অস্ট্রেলীয়
ক্রিকেট
তারকা।
অস্ট্রেলিয়া
ক্রিকেট
দলের
অন্যতম
সদস্য
ছিলেন
তিনি।
সেই
সঙ্গে
তিনি
সেরা
অধিনায়কও।
ক্রিকেটকে
পেশা
হিসেবে
নেওয়ার
আগে
তিনি
ভালো
বেসবলও
খেলতেন।
তিনি
৭৫
টেস্ট
ম্যাচে
৪২.৪২
গড়ে
৫৩৪৫
রান
করেছিলেন।
নাথান লিয়ন
নাথান ছাড়া তাঁকে 'গোট' নামেও ডাকা হয়। তিনি ২০১০ সালে তিনি অ্যাডিলেড ওভাল গ্রাউন্ডস্টাফে একটি চাকরি নিয়েছেন যেখানে তার বোলিং প্রতিভা রেডব্যাকের কোচ ড্যারেন বেরি দেখেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সেরা টেস্ট অফ-স্পিনার হন। তারপর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
মহেন্দ্র সিং ধোনি
ধোনির নতুন করে পরিচয় দেওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটে কেরিয়ার তৈরি করার আগে তিনি টিকিট পরীক্ষক ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলে যোগ দেন। তারপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বে আজ তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসাবেই পরিচিত। তিনি ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল
তিনি আগেই ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেননি। তিনি প্রথম জীবনে দাবা খেলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতেন। তাঁর দাবা খেলার জন্য বেশ নাম আছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে খেলতে দেখা যায়।
বরুণ চক্রবর্তী
মাত্র ১৭ বছর বয়স প্রথম তিনি খেলার মাঠে নামেন। ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলতেন তিনি। যদিও তিনি অনেক সময় প্রত্যাখানও হন। তারপর তিনি আর্কিটেকচার ডিগ্রির জন্য আবেদন করেন। কাজ পেয়ে গেলেও তিনি কাজে মন বসাতে পারছিলেন না। তারপর তিনি বোলিংয়ের জন্য আইপিএলে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
ক্রিকেটের পাশাপাশি নতুন ইনিংস শুরু, বলিউডে পা রাখতে চলেছেন শিখর ধাওয়ান