
সিপিএম ফিরে আসার লড়াইয়ে রেড ভলেন্টিয়ারদের সামনে আনছে, কী পরিকল্পনা ভবিষ্যতে
সিপিএম বদলাতে শুরু করেছে বাংলায়। একুশের ভোটে অস্তিত্ব হারিয়ে ফের শূন্য থেকে পথ চলা শুরু করেছে তারা। নেতৃত্বে সামনে এনেছে নতুন মুখকে। এবার নতুন পরিকল্পনায় নতুন উদ্যমে সিপিএম আসরে নেমেছে। সিপিএম ফিরে আসার লড়াইয়ে পরিকল্পনা করেছে, রেড ভলেন্টিয়ারদের সামনে আনার। সেইমতো কর্মসূচি রূপায়ণে জোর দেওয়া হয়েছে।

রেড ভলেন্টিয়ারদের জনসংযোগ কাজে লাগাতে
রেড ভলেন্টিয়াররার করোনার মরশুমে যে কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে, মানুষের পাশে থেকেছে, তা অন্য কোনও দলের নেতা-কর্মীরা করে দেখাতে পারেনি। তাঁরা কোনও প্লাটফর্ম ছাড়াই শুধু মানবিকতাকে ভর করে নিজেদের চেষ্টায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবার তাঁদেরকে সামনে এনে সিপিএম রাজনৈতিকভাবে পার্টির জনসংযোগে কাজে লাগাতে চাইছে।

রেড ভলেন্টিয়ার নাম ব্যবহারের উদ্যোগ সিপিএমে
সিপিএম চাইছে রেড ভলেন্টিয়ার নামটাকে সামনে রেখে কর্মসূচি রূপায়ণ করতে। এবার সিপিএম যে সমস্ত সামাজিক কর্মসূচি রূপায়ণ করে, তার বেশিরভাগে কর্মসূচিতেই রেড ভলেন্টিয়ার নামটা ব্যবহার করতে চাইছে তারা। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইদের নাম যেমন ব্যবহার করা হয় তেমনই সিপিএমের একটা শাখা সংগঠনের মতো রেড ভলেন্টিয়ার নাম ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রেড ভলেন্টিয়ারদের ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে
সাম্প্রতিক অতীতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে রেড ভলেন্টিয়ারদের। মানুষের কাছে রেড ভলেন্টিয়াররা আলাদা একটা পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। আলিমুদ্দিন সেই পরিচিতিটাই কাজে লাগাতে চাইছে। কাজে লাগাতে চাইছে রেড ভলেন্টিয়ারদের ভাবমূর্তি। মানুষের সঙ্গে যে নিবিড় জনসংযোগ তাঁরা তৈরি করেছিলে এবার রেড ভলেন্টিয়ারকে দিয়ে সিপিএম সেই জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে।

মানুষের বিপদে মুশকিল আসান রেড ভলেন্টিয়াররা
রেড ভলেন্টিয়াররা করোনার সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন, খাবার। যখন সবাই করোনার ভয়ে বাইরে বেরোতে ভয় পেয়েছেন, তখন অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে রেড ভলেন্টিয়ারদের পাশে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক বা অক্সিদেন পৌঁছে দেওয়া, কিংবা শেষকৃত্যেও দেখা গিয়েছে রেড ভলেন্টিয়ারদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে। তাঁরা মানুষের বিপদে মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

রেড ভলেন্টিয়ারদের সামনে রেখে মানুষের কাছে
মূলত এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরাই রেড ভলেন্টিয়ার হিসেবে মানুষের কাজে পৌঁছেছিলেন। সিপিএমের ছাত্র-যুবরাই মানুষের কাছে ঊজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে সিপিএমের। এবার রেড ভলেন্টিয়ারদের সামনে রেখে মানুষের কাছে যেতে চাইছে সিপিএম। রেড ভলেন্টিয়ারদের কথা মানুষ শুনেছেন। তাঁদের একটা ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। সেই ভাবমুর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম।

বিজেপি পিছিয়ে, সিপিএম এগিয়ে রেড ভলেন্টিয়ারদের সৌজন্যে
একুশের নির্বাচনে গোহারা হওয়ার পর সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে সিপিএম আবার বিজেপির আধিপত্যে ভাগ বসিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে, সিপিএম অনেকটাই এগিয়ে এসেছে অন্তত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। পুরসভা নির্বাচনেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। এর কারণ রেড ভলেন্টিয়ারদের সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপ।

জনসংযোগ বাড়িয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফেরাতে
এই লক্ষ্য নিয়েই সিপিএম রেড ভলেন্টিয়ারদের গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। সিপিএমের সম্মেলনে, পার্টি কংগ্রেসে তাঁদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হয়েছে রেড ভলেন্টিয়ারদের। মোট কথা নতুন মুখ এনে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। মুখ্য উদ্দেশ্য, জনসংযোগ বাড়িয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা।
মমতার আরও এক বন্ধু-দল সরল বিরোধী বৈঠক থেকে! কেসিআরের পর রণেভঙ্গ কেজরিরও