কেন্দ্র-আরবিআই দ্বন্দ্ব কি থামবে! কোনপথে বেরোবে রফাসূত্র, তাকিয়ে গোটা দেশ
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিংয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিংয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। মনে করা হচ্ছে কেন্দ্র এমন কোনও নিয়ম সামনে আনতে পারে যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ওপরে নজরদারি আরও জোরদার হয়। কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের সম্ভাবনাও উঁকি মারছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উৎকণ্ঠার, সন্দেহ নেই।
বেশি নজরদারি!
কেন্দ্র এস গুরুমূর্তি, সুভাষচন্দ্র গর্গ ও রাজীব কুমারকে দায়িত্ব দিয়ে এনেছে। ফলে ব্যাঙ্কের কাজে প্রভাব তৈরি হবে তাতে সন্দেহ নেই। ঋণ গ্রহণকারীদের নিয়মের সুবিধা করে দেওয়া, শিল্পের জন্য আর্থিক সাহায্য ও ব্যাঙ্কের কাজে বেশি নজরদারি এবার কেন্দ্র করতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্র ও আরবিআই সংঘাত
কেন্দ্র ও আরবিআই সংঘাত মূলত তিনটি বিষয়ে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত সঞ্চয়। আরবিআইয়ের কাছে অতিরিক্ত ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা রয়েছে। সরকারের যুক্তি তা উন্নয়নের কাজে লাগতে পারে। তবে ব্যাঙ্কের যুক্তি আপতকালীন ফান্ড হিসাবে ওই টাকা রাখা হয়েছে। তা দেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রের দাবি
কেন্দ্র মনে করছে, আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ধার নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে বাজে ঋণের সংখ্যাই বাড়ছে। আরবিআই ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ওপরে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। যাতে নানা অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি উঠেছে।
সুযোগ দিক আরবিআই
মাঝারি ও ছোট শিল্পগুলিকে ঋণ দেওয়ার নিয়মে জটিলতার কারণে নানা সংস্যা হচ্ছে। সেজন্য আরবিআইকে নিয়ম শিথিল করার অনুরোধ করেছে কেন্দ্র। কারণ এই সেক্টরে ১২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। সামান্য সুযোগ হলে এই সেক্টরে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ
কংগ্রেসের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র অর্থনীতির হাল ফেরানোর চেষ্টা করছে। আরবিআইয়ের সঞ্চয় ভাঙিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। আর তাতে গভর্নর রাজি না হওয়ায় জোর খাটাচ্ছে। যদিও কেন্দ্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঠিক কত টাকা আরবিআই সঞ্চিত রাখতে পারে তা নিয়ে নীতি নির্ধারণেই মূলত জোর দেওয়া হয়েছে বলে এস গুরুমূর্তি জানিয়েছেন।