বাজেট অধিবেশন ২০১৯: কর ছাড়ে কি নতুন দিশা দেখাবে দ্বিতীয় মোদী সরকার?
অন্তর্বর্তী বাজেটে ভোটার টানতে ঝুলি উপুর করে দিয়েছিল মোদী সরকার। আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা ৫ লাখ টকা পর্যন্ত ঘোষণা করে অর্ধেক যুদ্ধ জয় করে নিয়েছিলেন সেদিনই।
অন্তর্বর্তী বাজেটে ভোটার টানতে ঝুলি উপুর করে দিয়েছিল মোদী সরকার। আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা ৫ লাখ টকা পর্যন্ত ঘোষণা করে অর্ধেক যুদ্ধ জয় করে নিয়েছিলেন সেদিনই। এবার আরও বড় পরীক্ষা মোদীর। ৩৫০ সাংসদ নিয়ে লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে কী বাজিমাত করবেন মোদী সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
৫ জুলাই বসতে চলেছে মোদী টু সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। আর তাই ঘিরে প্রত্যাশার শেষ নেই। বিশেষ করে আয়কর ছাড় কতটা হবে, আগেরটাই বহাল থাকবে কিনা এই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।
এদিকে মানুষের প্রত্যাশা বজায় রেখেই নির্ভুল বাজেট পেশ করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বেশিরভাগ কর দাতাই চাইবেন আয়করে পুনর্বিন্যাস হোক। এর মধ্য আবার বেশিরভাগের দাবি ন্যূনতম আয়কর ছাড় ২.৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করা হোক। অনেকেই মনে করছেন আয়কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়াবে সরকার। ৮০ সি ধারা প্রয়োগ করে আয়কর ছাড়ের পরিমান বাড়ানো হোক। কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা কমও করতে পারেন তিনি। এমনও আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই মনে করছেন আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা ৫ লাখের বেশি হওয়ার সম্ভাবকনা রয়েছে। কর দিতে না হলেও তাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। নইলে আয়কর ছাড়ের এই উর্ধ্বসীমার সুবিধা তারা পাবেন না।
এদিকে আবার মনে করা হচ্ছে যাঁদের আয় বার্ষিক ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা তাঁদের ক্ষেত্রে আয়কর ১০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা বর্ষিক আয় যাঁদের তাঁদের আয়কর ছাড় ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোটের উপর মধ্যবিত্তের আয়কর ছাড়ে কোপ না ফেলারই চেষ্টা করবেন মোদী। এমনই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।