অনলাইন শপিংয়ে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে সর্বস্ব খোয়াতে পারেন, জানুন খুঁটিনাটি
যদি ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিংয়ের সময় পেমেন্ট করেন তাহলে এই অভ্যাস এখুনি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।
অনলাইনে শপিং করেন? ডিজিটাল দুনিয়ায় অবশ্যই করেন সন্দেহ নেই। নিজের পছন্দমতো জিনিস কেনা যায় একেবারে ছবি দেখে, ফিচার্স যাচাই করে। তাও আবার ঘরে বসে। অনলাইনে অর্ডার করলে ঘরে বসেই নিজের পছন্দের জিনিস হাতে পেয়ে যান আপনি। আর এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই অনলাইনে পেমেন্ট করতে হয়। যদি ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিংয়ের সময় পেমেন্ট করেন তাহলে এই অভ্যাস এখুনি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।
বদলান অভ্যাস
সাধারণভাবে অনলাইনে কেনাকাটার সময়ে কখনও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনটা নয় যে অনলাইন শপিং সুরক্ষিত নয়। অবশ্যই সুরক্ষিত। তবে ব্যক্তিগতভাবে ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইন কেনাকাটার অভ্যাস বদলে ফেললেই ভালো হয়। কারণ কোনও জায়গায় গোলমাল হয়ে গেলে হাত কামড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।
ডেবিট-ক্রেডিটের ফারাক
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে লেনদেন করা সম্ভব। তবে এখানে পার্থক্য রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের ঊর্ধ্বসীমা থাকলেও ডেবিট কার্ডের কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। যদি আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে তাহলে যত খুশি ডেবিট কার্ড দিয়ে খরচ করতে পারেন আপনি।
ক্রেডিট কার্ডে ক্ষতি কম
যদি কোনওভাবে অনলাইনে আপনার ডেবিট কার্ডের লেনদেনের সময়ে গোলমালে পড়ে যান, তাহলে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাও খোয়া যেতে পারে। সেটা ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে হলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। বড়জোড় ক্রেডিটের টাকাটুকু খোয়া যাবে।
ক্রেডিটে খোয়ানোর ঝক্কি কম
যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া তা ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের। আপনার নয়। যদি জালিয়াতি হয় সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কাছে গিয়ে দরবার করতে পারবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা দেখে আপনার চার্জ কাটবে না।
ডেবিট জালিয়াতিতে আগে টাকা খোয়া যাবে
তবে যদি ডেবিট কার্ডে জালিয়াতি হয়, তাহলেও আপনি ব্যাঙ্ককে বলে টাকা ফেরত পেয়ে যেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হল, আপনাকে প্রথমে নিজের কষ্টার্জিত টাকা খোয়াতে হবে। তারপরে দাবির সত্যতা থাকলে আপনি তা ফেরত পাবেন। এদিকে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে কোনও টাকা আপনার খোয়া যাবে না।