সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে কী পরিণাম হবে জানেন কি
আয়কর জমা করার শেষ তারিখ আজ ৩১ জুলাই। আজকের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে ঠিক কী কী হতে পারে তা জেনে নিন একনজরে।
আয়কর জমা করার শেষ তারিখ আজ ৩১ জুলাই। সরকারি নির্দেশ মেনে এদিনের মধ্যেই আয়কর জমা করতে হবে। যদি তা না করেন, তাহলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন। ঠিক কী কী হতে পারে তা জেনে নিন একনজরে।
[আরও পড়ুন:প্যান ও আধার কার্ডে তথ্যে গোলমাল?ঠিক করুন বাড়িতে বসেই]
দেরি হলে সংশোধনের সুযোগ নেই
যদি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আপনি আয়কর রিটার্ন জমা করেন তাহলে তাতে কোনও ভুলচুক হলেও পাল্টানোর সুযোগ থাকবে না। কোনও কারণে ভুল স্টেটমেন্ট দেওয়া হলে তা পরে বদল করা যাবে না। আয়কর অফিসার ফাইলে ভুলত্রুটি বের করে ফেললে তা বদল করার সুযোগ না পাওয়ায় আইন মেনে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। আয়কর আইনের ১৩৯ (৫) ধারা অনুযায়ী এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে গতবছরে এই আইনে সংশোধন করা হয়। ঠিক হয়েছে, কেউ পয়লা এপ্রিলের পরে দেরি করে আয়কর রিটার্ন করলেও রিভাইস করতে পারবেন। তবে সেটা শুধুমাত্র এবছরের (২০১৬-১৭) জন্য। কেউ এবছর ২০১৬-১৬ সালের আয়কর রিটার্ন জমা করলে তাতে বদল আনা যাবে না।
[আরও পড়ুন:বাতিল হয়ে যেতে পারে আপনার PAN কার্ড!]
রিফান্ডে সুদের হার কমবে
যদি অগ্রিম আয়করের ক্ষেত্রে আপনি রিফান্ড দাবি করেন, সেক্ষেত্রে সুদের হার কম পাবেন আপনি। অ্যাসেসমেন্ট বছরের ১ এপ্রিল থেকে তা হিসাব করা হয়। তবে দেরি করে রিটার্ন দিলেও আসল দিন থেকেই তা ধরা হবে। ফলে একদিন পর রিটার্ন জমা দিলেও সুদের হার কমে যাবে। অন্তত চার মাসের সুদের হারে তার প্রভাব পড়বে।
ক্ষতি হবে অনেকটাই
যদি দেরি করে আয়কর রিটার্ন করেন তাহলে ক্ষতিটাকে 'ক্যারি ফরওয়ার্ড' করতে পারবেন না। দেরি করে আয়কর জমা দিলে তাতে ব্যবসা বা অন্য সূত্র থেকে পাওয়া রিটার্ন যুক্ত করা যাবে না। সব কর সঠিক সময়ে জমা দিলে সেক্ষেত্রে আপনি তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন, অন্যথায় নয়।
দেরি করে রিটার্ন যেখানে কর দেওয়া হয়নি
যদি আপনার অদেয় কর জমা থাকে, সেক্ষেত্রে পরে আয়কর জমা দিলে প্রতি মাসে ১ শতাংশ হারে জরিমানা গুনতে হবে। যদি বছর ছাড়িয়ে যায় ও বকেয়া করের পরিমাণ ৩ হাজার টাকার বেশি হয় তাহলে আয়করের তরফে কড়া ব্যবস্থার বিধান রয়েছে।
যদি আর্থিক বছরের মধ্যে রিটার্ন না দেওয়া হয়
যদি এক আর্থিক বছরের মধ্যে রিটার্ন জমা না করা হয়, তাহলে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার কাছে কারণ জানতে চাইবেন আয়কর কর্তারা। বৈধ কারণ দেখাতে না পারলে অবশ্যই জরিমানার অঙ্ক গুনতে হবে।