জিএসটি-র কী প্রভাব পড়বে জীবনদায়ী ওষুধের উপরে, জানেন কি
ওষুধের দাম আমজনতার সাধ্যের মধ্যে রাখতে জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি (এনপিপিএ) দামে হস্তক্ষেপ করেছে।
জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে সারা দেশে চালু হতে চলেছে জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর। তার আগেই ওষুধের দাম আমজনতার সাধ্যের মধ্যে রাখতে জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি (এনপিপিএ) দামে হস্তক্ষেপ করেছে। [আরও পড়ুন : শুধু জিএসটি নয়, ১ জুলাই থেকে আরও অনেক কিছু বদলে যেতে চলেছে]
বর্তমানে ৮০ শতাংশ ওষুধে ৯ শতাংশ হারে কর আদায় করা হয়। জিএসটির ফলে তা ১২ শতাংশে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছিল। আর তা নিয়েই অনেকে আশঙ্কা করছিলেন। [আরও পড়ুন : নিত্য ব্যবহারকারী ভোগ্যপণ্যের উপরে জিএসটি-র কী প্রভাব পড়বে]
আর সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে জুলাই মাস শুরুর আগে মোট ৭৬১টি ওষুধের দামের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে ফেলল এনপিপিএ। 'ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার' মোতাবেক আবগারি শুল্ক বাদ দিয়ে এই নয়া সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে জিএসটি বলবৎ হওয়ার পরও ওষুধের দাম খুব বেশি বাড়বে না।
এইচআইভি, ক্যানসার, নিউমোনিয়া, ত্বকের রোগের মতোর ওষুধের দাম কমবে। তবে তার কারণ সরাসরি জিএসটি নয়। তা বলবৎ হওয়ার আগেই দাম কমাতে আবগারি শুল্ক ও ভ্যাট কমানো হয়েছে। এরপরে জিএসটি চালু হলে ওষুধের উপরে খুব বেশি ধাক্কা লাগবে না।
স্টেন্ট, লিউকোমিয়া, হেপাটাইটিস বি-র মতো রোগের ওষুধের দাম বাড়েনি। বেশিরভাগ ওষুধই ১২ শতাংশের ব্র্যাকেটে পড়েছে। এছাড়া কিছু জীবনদায়ী ওষুধকে মাত্র ৫ শতাংশ করের স্ল্যাবে রাখা হয়েছে।
তবে তামাকজাত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নিকোটিন গাম যা সিগারেট বা গুটখার পরিবর্ত হিসাবে অনেক সময়ে ব্যবহার করা হয় তা জিএসটিতে ১৮ শতাংশ করের ধাপে রাখা হয়েছে। যা নিয়ে সংশোধনী চেয়ে আবেদন করেছে সিপলার মতো ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা।