ইউরোপের ইস্পাত শিল্পে বড় রদবদল, থাইসেনক্রুপ এজি ও টাটা স্টিলের চুক্তি চুড়ান্ত হল
জার্মানির থাইসেনক্রুপ এজি এবং ভারতের টাটা স্টিল লিমিটেড দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত যৌথ ইস্পাত উদ্যোগের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।
শনিবার জার্মানির থাইসেনক্রুপ এজি ও ভারতের টাটা স্টিল সংস্থা চুড়ান্ত চুক্তি সেরে ফেলল। ফলে প্রায় এক দশকের বেশি সময় পরে বেশ বড় সড় রদবদল এল ইউরোপের ইস্পাত ইন্ডাস্ট্রিতে। গত বছর সেপ্টেম্বরেই দুই সংস্থার মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি সারা হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে কয়েক মাসের আলাপ আলোচনার পর ৫০-৫০ শেয়ারে যৌথ ইস্পাত সংস্থা চালাতে চুক্তিবদ্ধ হল তারা।
যৌথ সংস্থাটির নাম ঠিক হয়েছে থাইসেনক্রুপ টাটা স্টীল। ২০০৬ সালে লক্ষ্মী নিবাস মিত্তল আরসেলর সংস্থাকে অধিগ্রহন করার পরে ইউরোপের ইস্পাত শিল্পে আর এত বড় চুক্তি হয়নি। নতুন সংস্থাটি চলা শুরু করছে ৪৮ হাজার কর্মী ও ১৯.৯ বিলিয়ন টাকার ব্য়বসা দিয়ে। সংস্থাটির সদর দপ্তর হবে নেদারল্যান্ডে। ইউরোপের ইস্পাত শিল্পে আরসেলর-মিত্তল-এর পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা হল থাইসেনক্রুপ টাটা স্টীল।
থাইসেনক্রুপের সিইও হেইনরিখ হেইনসিঙ্গার বলেন, 'এই যৌথ অভিযান ইউরোপের ইস্পাত শিল্পের সমস্য়াগুলির মোকাবিলায় সমর্থ হবে। এছাড়া এতে করে দুই সংস্থাতেই ৫ বিলিয়ন ইউরো করে বাড়তি অর্থ যুক্ত হবে। যৌথ সহযোগিতায় যা সম্ভব হয়েছে তা একক ভাবে সম্ভব ছিল না।' টাটা স্টিলের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন বলেন, 'এটি একটি মজবুত প্যান ইউরোপিয়ান সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো।'
তবে চুক্তি চুড়ান্ত হওয়ার আগে দুই সংস্থার মধ্যে বেশ টালবাহানা চলেছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ইউরোপে টাটার বানিজ্য মার খেয়েছে। ফলে একটি ভ্যালুয়েশন গ্যাপ তৈরি হয়। যার জন্য থাইসেনক্রুপের শেয়ার হোল্ডাররা টাটা স্টিলের আরও কমিটমেন্ট দাবি করেছিলেন। শেষ অবধি সেই ফাঁক পূরণের পরই চুক্তি পাকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেইনসিঙ্গার।