ডিসেম্বরে আম্বানি পরিবারের এই ছেলের বিয়ে হচ্ছে না, পুরোটাই গুজব ছিল, জানুন বিস্তারিত
মুকেশ আম্বানি এবং নিতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানী ও রাধিকা মরচেন্টের বাগদান হয়নি, তাঁরা এই বছরের ডিসেম্বরে গাঁটছড়াও বাঁঝছেন না।
সম্প্রতি, নীতা ও মুকেশ আম্বানির ছোটো ছেলে অনন্ত আম্বানি ও বিজনেস টাইকুন বীরেন্দ্র মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা মার্চেন্টের বাগদানের খবর ঝড় তুলেছিল সোশাল মিডিয়ায়। অনেকেই তা বিশ্বাস করতে না চাইলেও সংবাদ মাধ্যমকে থামায় কে! কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম তো এমনও দাবি করেছিল, এই বছরের ডিসেম্বরেই নাকি অনন্ত আম্বানি এবং ইশা মার্চেন্ট গাঁটছড়া বাঁধবেন। এমাসের শুরুতে জানা গেছিল ডিসেম্বরে আম্বানী পরিবারের আরেকজনের বিয়ে। অনিল আম্বানির বড় বোন ইশা ও আরেক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে আনন্দ পিরামালের বাগদান হয়েছিল। তাতে অনন্তের বিয়ের খবরের পালে আরও হাওয়া লেগেছিল।
কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে সেই খবরের কোনও ভিত্তিই ছিল না। গোটাটাই গুজব। এ সম্পর্কিত যাবতীয় প্রতিবেদন অস্বীকার করে রিলায়েন্স সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'অনন্ত আম্বানির সঙ্গে রাধিকা মারচেন্টের কোনও বাগদান হয়নি।'
এবছরের ডিসেম্বরে ইশা আম্বানীর সঙ্গে বিবাহ হবে পিরামল গ্রুপের অজয় পিরামল ও স্বাতী পিরামলের ছেলে আনন্দ পিরামলের। দীর্ঘ চার দশকের জানাশোনা দুই পরিবারের। ছোটবেলা থেকেই আনন্দ ও ইশা পরস্পর, পরস্পরের ভাল বন্ধু। জানা গিয়েছে ৩৩ বছরের আনন্দ মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরের মন্দিরে গিয়ে ২৬-এর ইশাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন।
ডিসেম্বরে বিয়ে ঠিক আছে ইশার যমজ ভাই, অনন্তের দাদা, আম্বানী পরিবারের বড় ছেলে আকাশেরও। রোসি ব্লু ডায়মন্ডের মালিক, হীরক ব্যবসায়ী রাসেল মেহতার কন্যা শ্লোকা মেহতার সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয় এবছরের গোড়াতেই। গত মাসে তাঁরা বাগদান সেরেছেন। মেহতা পরিবারের সঙ্গেও আম্বানীদের সম্পর্ক অনেকদিনের। গুজরাত থেকেই দুজনের উত্থান। ধীরুভাই আম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সহপাঠী ছিলেন আকাশ আর শ্লোকা।