আরও পড়ল সেনসেক্স, এক ধাক্কায় ৮০০ পয়েন্ট
দুশ্চিন্তার মেঘ আরও ঘন হচ্ছে। ৫০০ থেকে ৮০০ পয়েন্টে পতন শেয়ার বাজারের। নিফটিও পড়ছে পাল্লা দিয়ে।
দুশ্চিন্তার মেঘ আরও ঘন হচ্ছে। ৫০০ থেকে ৮০০ পয়েন্টে পতন শেয়ার বাজারের। নিফটিও পড়ছে পাল্লা দিয়ে। সেই দুপুর থেরে পড়ছে কাঁটা। বিকেল সাড়ে তিনটে বাজতে না বাজতেই ৮০০ পয়েন্ট নেমে গেল শেয়ারবাজার। নিফটি পড়েছে ২৩৭.২৫ পয়েন্ট। ২ মাস ধরে সেনসেক্সের এই ধারাবাহিক পতন ঘুম উড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের।
২ মাস ধরে ধারাবাহিক পতন শেয়ারবাজারে
কিছুতেই সামলে উঠছে না দেশের আর্থিক ব্যবস্থা। একের পর এক ধাক্কা লেগেই রয়েছে। টানা ২ মাস ঘরে সেনসেক্সের এই বেহাল দশা ভাবিয়ে তুলেছে ব্যবসায়ীদের। যার জেরে গত ৬ বছরে সর্বাধিত কম হয়েছে জিডিপি বৃদ্ধি। দিকে দিকে কর্মসংস্থানে টান পড়তে শুরু করেছে। আবারও সেই রিসেশনের পথে এগোচ্ছে দেশ। বিরোধীরা যদিও এই পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছে। দেশের অর্থনীতিক পুণরুজ্জীবনে সরকারকে এগিয়ে আসার কথা বলেেছন অর্থনীতিবিদরা।
টাকার দামের পতন
শুধু যে শেয়ার বাজারের দুরবস্থা তা নয়। গত ২ মাস ধরে টাকার দামও পড়ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমেরিকা-চিনের বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের কারণেই এই সামগ্রিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। টাকার দামে স্থিরতা আনতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তাতেও কোনও প্রভাব বড়ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে অপরিশোধিত তেল এবং সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই টাকার দামের পতন বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিনিয়োগে সংকট
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবস্থা এতোটাই সংকটজনক যে ভারতে বিনিয়োগেই ভরসা পাচ্ছেন না বাইরের শিল্পপতিরা। বিনিযোগ বাড়লে কিছুটা হলেও দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই অবশ্য রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে সৌদির অন্যতম বড় তৈল সংস্থা। কিন্তু তাতেও তো দেশের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরছে না। শুধু মাত্র একটি বিনিয়োগেই যে কাজ হবে না সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শেয়ার বাজারের এই ধারাবাহিক পতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাঙ্ক এবং গাড়ির কোম্পানিগুলি। এই দুই ক্ষেত্রের শেয়ারই সবথেকে বেশি পড়েছে। দেশে গাড়ির বাজারেও মন্দা দেখা দিয়েছে। তার উপর একাধিক ব্যাঙ্কের সংযুক্তি করণ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাতে আরও পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে উঠছে।