টেলিকম সেক্টরে অনিশ্চয়তা, আগামী ৬ থেকে ৯ মাসে কাজ যেতে পারে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের
ভারতের টেলিকম সেক্টরে চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা। আগামী মাসগুলিতে টেলিকম সেক্টরে চাকুরের সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। সব মিলিয়ে সামনের ৬ থেকে ৯ মাসে চাকরি হারাতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার মানুষ।
ভারতের টেলিকম সেক্টরে চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা। আগামী মাসগুলিতে টেলিকম সেক্টরে চাকুরের সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। সব মিলিয়ে সামনের ৬ থেকে ৯ মাসে চাকরি হারাতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার মানুষ।
বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছিল আগেই। পোর্টেবিলিটি ছাড়াও আয় কমে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবার ঝুলছে চাকরি হারানোর খাড়া। একটি বেসরকারি সংস্থা বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে।
টেলিকম কোম্পানিগুলির সফটঅয়্যার এবং হার্ডঅয়্যার সেকশনের ১০০ সিনিয়র এবং মিডিল লেবেলের কর্মীদের ওপর সার্ভে করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পরবর্তী ছয় থেকে নয় মাসে এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে। সেক্ষেত্রে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ হাজারে পৌঁছে যাবে বলে অনুমান ওই সার্ভে রিপোর্টে।
বেঙ্গালুরুর ওই বেসরকারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা তাঁদের কেরিয়ার নিয়েই আশঙ্কায় রয়েছেন।
সংস্থাগুলির লোন, বাজারে প্রবল প্রতিযোগিতা, সংযুক্তিকরণের অনিশ্চয়তা এবং টেলিকম সেক্টর ফের বিনিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেই লে-অফের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, টেলিকম সেক্টরে মাইনে বৃদ্ধিরও প্রভাবও পড়েছে। প্রায় ৬৯ শতাংশের মাইনে বৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের মতো। অন্যদিকে, এক তৃতীয়াংশের মাইনে বৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশের মতো।
রিপোর্টে
জানানো
হয়েছে,
টেলিকম
সেক্টরে
থাকা
বেশিরভাগ
লোকই
এই
সেক্টর
ছেড়ে
দিয়ে
অন্য
সেক্টরে
কাজের
খোঁজ
করছেন।
টেলিকম
ইন্ডাস্ট্রি
তার
আভিজাত্য
হারিয়েছে।
ফলে
এই
সেক্টরের
প্রতি
কোনও
মেধাবীই
আর
আকৃষ্ট
হচ্ছেন
না।
ফাঁকা
পড়ে
থাকা
সিট
ফাঁকাই
থেকে
যাচ্ছে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে চাকরি ছেড়ে যাওয়া ২৫ শতাংশের হাতে কোনও কাজ নেই। ৬৯ শতাংশ মনে করছেন, তাঁরা অন্য কোনও সেক্টরে কাজ জুগিয়ে নিতে পারবেন।