বিমান ব্যবসায় টাটারা! জল্পনা বাড়াল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
বিমান ব্যবসায় ঢুকতে জেট এয়ারওয়েজের সঙ্গে তাদের কথা চলছে। একথা স্বীকার করে নিল টাটাগোষ্ঠী। যদিও সেই কথা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে বলে জানিয়েছে তারা।
বিমান ব্যবসায় ঢুকতে জেট এয়ারওয়েজের সঙ্গে তাদের কথা চলছে। একথা স্বীকার করে নিল টাটাগোষ্ঠী। যদিও সেই কথা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে বলে জানিয়েছে তারা। অধিগ্রহণ নিয়ে কথা বলতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ গোষ্ঠীর বাকি কোম্পানিগুলির এক বৈঠক ডেকেছিলেন শুক্রবার।
জেট এয়ারওয়েজ
প্রায় ২৫ বছর আগে জেট এয়ারওয়েজ গড়ে তুলেছিলেন নরেশ গোয়েল। জেট এয়ারওয়েজ-এ গোয়েলদের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ। আবুধাবির এতিহাদের রয়েছে ২৪ শতাংশ শেয়ার। তবে এই মুহূর্তে সংস্থার অবস্থা ভাল নয়। ঋণের ভাবে জর্জরিত। জেট এয়ারওয়েজকে সঠিকভাবে চালু করতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার লাগবে বলে সূত্রের খবর। এই গোষ্ঠীর হাতে ১২৪ টি বিমান রয়েছে। দেশের বিমান ব্যবসার ১৬ শতাংশ তাদেরই দখলে।
টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির বৈঠক
অধিগ্রহণ নিয়ে কথা বলতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ গোষ্ঠীর বাকি কোম্পানিগুলির এক বৈঠক ডেকেছিলেন শুক্রবার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আশাবাদীও ছিলেন তিনি। যদিও জানা গিয়েছে, দুই ডিরেক্টর অধিগ্রহণ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ক্ষতিতে চলা কোম্পানি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছেন তাঁরা।
ফল বিহীন সাড়ে ছয় ঘণ্টার বৈঠক
শুক্রবার বোর্ড মিটিং-এ বসেছিল টাটা সনস। যা চলে প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা। সেই বৈঠকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ ব্যবসার একটি কার্যকরী পরিকল্পনা পেশ করেন বলে জানা গিয়েছে। টাটা সন্সের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, জেট এয়ারওয়েজকে এখনও প্রস্তাব পাঠানো বাকি রয়েছে।
নজর রতন টাটার দিকে
তবে সবার নজর এখন রতন টাটার দিকে। তিনি টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। কোম্পানির দুই-তৃতীয়াংশ শেয়ার তাঁরই হাতে রয়েছে। তাঁর সমর্থন ছাড়া এই অধিগ্রহণে এগনো সম্ভব নয় বলেই সূত্রের খবর।
বিমান ব্যবস্যায় আগ্রহ টাটাদের
বিমান ব্যবসায় টাটাদের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিডিং-এ টাটারা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তা অসম্পূর্ণই থেকে যায়। ১৯৫৩ সালে এয়ার ইন্ডিয়া জাতীয়করণের আগে তা ছিল টাটাদেরই হাতে।