
এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ, টাটারা ছাড়াও দরপত্র জমা দিল আরও এক বেসরকারি বিমান সংস্থা
মোদী সরকারের আশা পরিপূর্ণ। ঋণের দায়ে জর্জরিত রাষ্ট্রয়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (air india) দরপত্রের প্রক্রিয়া কার্যত সম্পূর্ণ করল সরকার। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ১৫ সেপ্টেম্বর সময়সীমা ধার্ষ করা হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। টাটা সন্স (Tata Sons) এবং স্পাইস জেট (Spice Jet) এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনতে দরপত্র জমা দিয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

অর্থমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি
এদিন অর্থমন্ত্রকের তরফে ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়ায় দরপত্র জমা পড়েছে। প্রক্রিয়াটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছিলন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের দরপত্রের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্ষ করা হয়েছে। এই সময়সীমার কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জনিয়েছিলেন তিনি।

টাটা এয়ারলাইন্স থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্ম
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৩২ সালে টাটারা অবিভক্ত ভারতে টাটা এয়ারলাইন্স স্থাপন করেছিলেন। যা ১৯৪৬ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার রূপ পায়। দেশ স্বাধীন হওয়া পর ১৯৫৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এয়ার ইন্ডিয়াকে অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত জেআরডি টাটাই এর চেয়ারম্যান ছিলেন।
বর্তমানে টাটারা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ভিস্তারা এবং মালয়েশিয়ার এয়ার এশিয়ার সঙ্গে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার বিমান পরিষেবা দিয়ে থাকে।
বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার ধার রয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ২২ হাজার কোটি টাকা হল এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেডের।

সরকারের পরিকল্পনা
বর্তমানে সরকার পরিকল্পনা করেছে এয়ারলাইন এবং তার অংশ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১০০ শতাংশ অংশিদারিত্ব বিক্রি করে দেবে। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস এয়ারপোর্ট সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের ৫০ শতাংশ অংশিদারিত্বও বিক্রি করে দেবে। এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে মুম্বই এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং এবং দিল্লির এয়ার লাইন্স হাউজও।
বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়া দেশের মাটিতে ৪৪০০ দেশীয় এবং ১৮০০ আন্তর্জাতিক বিমানের নামা এবং পার্কিং স্লট নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও বিদেশের মাটিতে ৯০০ স্লটও রয়েছে।

প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৩ বছর আগে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রায় তিনবছর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় কোনও দরপত্র পাওয়া যায়নি। সেই কারণে এবার কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চূড়ান্ত সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে।
Post Office: ৪১৭ টাকা বিনিয়োগে ডাকঘরে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ