ক্রেডিট হিস্ট্রি না নেই, আছে ক্রেডিটওয়ার্দিনেস - ছোট ঋণগ্রহীতাদের ঋণদানের পক্ষে সওয়াল আইবিসিতে
স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের কো-কনভেনর অশ্বিনী মহাজন বলেছেন, ছোট ঋণগ্রহীতাদের ক্রেডিট হিস্ট্রি না থাকলেও আছে ক্রেডিটওয়ার্দিনেস।
বিভিন্ন কারণে যারা আর্থিক সহায়তা পায়নি তাদের অর্থায়নের জন্য সবসমই সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে দাবি করলেন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের কো-কনভেনর অশ্বিনী মহাজন। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশ ও কিছু পরিবর্তনের পরও ব্যাঙ্কগুলি ছোট ঋণগ্রহীতাদের ফান্ড দিতে চায় না। তাই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কিং কনক্লেভে তিনি মুদ্রা ব্যাঙ্কের পক্ষে সওয়াল করেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকা থেকে শহুরে খেটে খাওয়া মানুষ, ছোট কৃষক, শ্রমিক, রাস্তার বিক্রেতারা এবং অন্যান্য অনেক কর্মী, যারা দেশের মোট ওয়ার্কফোর্সের ৯৩ শতাংশ, তাদেরকে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাদের কেউ ফান্ড দিতে চায় না। কারণ তাদের কোনও ক্রেডিট হিস্ট্রি নেই। কিন্তু এতে করে ব্যাঙ্কগুলিরও ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
অশ্বিনী মহাজন বলেন, 'আসলে ছোট ও বড়কে একসঙ্গে বেড়ে উঠতে হবে। কারণ ছোট না বাড়লে, বড়র বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে না। বেশিরভাগ ছোটো ঋণগ্রহীতা গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উপর এনএবিএআরডি-র এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকার মধ্যে এবিষয়ে কতটা বৈষম্য রয়েছে। একে ঘোচাতে হবে।'
[আরও পড়ুন:ব্যাড ডেট এবং এনপিএ, সমাধান কি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্টসি কোডেই ]
মহাজন বলেন, 'যদি সত্যিই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি করতে হয় তবে যারা ঋণ পাননি তাদের ঋণ দেওয়া এবং যাঁরা ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বাইরে আছেন, তাদের ব্যাঙ্কিং সেক্টরের আওতায় আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জন ধন প্রকল্পের সাহায্যে এই কাজটাই করার চেষ্টা করা হয়েছে।' তাঁর মতে, দরিদ্রদের ক্রেডিট হিস্ট্রি না থাকলেও 'ক্রেডিটওয়ার্দিনেস' আছে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে উত্থান বিজেপির! সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড, হার তৃণমূলের]
কিন্তু জন ধন প্রকল্পের পরও কেন মুদ্রা ব্যাঙ্ক চালু করতে হল? মহাজন বলেন, 'সরকার চায় ছোট ঋণগ্রহীতাদের সম্মানজনকভাবে ফান্ড দিতে। অন্য ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি ছোট ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে না।'
[আরও পড়ুন:এখনও পঞ্চায়েতে সুযোগ রয়েছে বিরোধীদের! সুপ্রিম-যুদ্ধে হেরেও সাফাই রবীন-রাহুলদের]