সেনসেক্সের পতন হলেও ২০২২-এর শেয়ার মার্কেট বন্ধ হল ৪.৪ শতাংশে লভ্যাংশে
সেনসেক্সের পতন হলেও ২০২২-এর শেয়ার মার্কেট বন্ধ হল ৪.৪ শতাংশে লভ্যাংশে
শুক্রবার ছিল ভারতের শেয়ার মার্কেটে সপ্তাহের শেষ দিন। একইসঙ্গে বছরেরও শেষ দিন। ফের শেয়ার বাজার খুলবে সোমবার অর্থাৎ নতুন বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি। ফলে এ বছর শেয়ার মার্কেট বন্ধ হল রড সিগন্যালেই। তবে এদিন সেনসেক্সের পতন হলেও ২০২২-এর শেয়ার মার্কেট বন্ধ হল ৪.৪ শতাংশে লভ্যাংশে।
২০২২-এর শেয়ার মার্কেটে সেনসেক্স বন্ধ ৬০,৮৪০.৭৪-এ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২১-এর শেষদিনের সূচকের তুলনায় তা বেশিই থাকল। শুক্রবার ইক্যুইটি বেঞ্চমার্ক পড়লেও বিশ্বব্যাপী লভ্যাংশের মাত্রাকে তা ছাপিয়ে গেল ৪.৪ শতাংশ। ২০২২ সালের শেয়ার মার্কেট বন্ধ হয় ৪.৪ শতাংশ ঊর্ধ্বে।
২০২২ সালের শেষ ব্যবসায়িক দিনে ভারতীয় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্কগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আর্থিক বাজারে যে ধাক্কা এসেছিল তাতে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশ্ববাজারে মুদ্রাস্ফীতি ও বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির কঠোর মনোভাবে সংকটে পড়েছে শেয়ার।
শুক্রবার বিএসই সেনসেক্স সূচক ২৯৩.১৪ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে ২০২২-এর শেষদিনে নামে ৬০,৮৪০.৭৪-এ। সূচকটি আগের তিন বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধির পর এবার ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহত্তর এনএসই নিফটি সূচক ৮৫.৭০ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে শুক্রবার ১৮,১০৫.৩০-এ শেষ হয়েছে। তবু সূচকটি ২০২২-এর জন্য ৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফিউচার অ্যান্ড অপশন চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অবস্থান দেশীয় স্টককে বাড়িয়েছি উভয় বেঞ্চ মার্ক সেশনের শুরুর থেকে তীক্ষ্ণ লোকসানের বিপরীতে ট্রেডিং-এর ফাগ এন্ডের কাছাকাছি লাভের সঙ্গে দিন শেষ করে। ২০২২ সালের শেষের দিকে বিশাল বৃদ্ধির আশাকে চূর্ণ করে দিয়েছে। আর্থিক সংকটের পর থেকে এ বছরই মুদ্রাস্ফীতি সছিক অবস্থানে ফিরে এসেছে। বিশ্বব্যাপী স্টকের মূল্যের ষষ্ঠাংশ ধ্বংস করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের দামের বৈশ্বিক উত্থান ঘটানোর জন্য বিশ্বব্যাপী সুদের হার বাড়াতে দৌড়াচ্ছে এবং বন্ডের দাম ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা কমপক্ষে ১৯৯০ সালের পর থেকে সবথেকে বেশি। জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে লেনদেন করা ইক্যুইটির বৃহত্তম এমএসসিই সূচক শুক্রবার বেড়েছে।
পণ্যের বাজারে ২০২২ সালে তেলের দাম উচ্চতর অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। এটি রাশিয়া-ইউক্রিয়ান যুদ্ধের একটি অশান্ত বছর। বিশ্বব্যাপী প্রায় কয়েক দশকের উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির চাপে দ্বিতীয় টানা বার্ষিক পতনের মুখে পড়ে। শেয়ারহোল্ডারদের বিশ্বাস ২০২৩-এ গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি পরাজিত হতে হবে। বিনিয়োগকারীরা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং তাইওয়ানের উপর কূটনৈতিক চাপের কারণে উদ্ভূত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকেও সতর্ক থাকবেন।
বিরোধীদের ধরাশায়ী করে ফের নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের, শুভেন্দু-গড়ে ফের ধাক্কা