জুলাই মাস ধরে সেনসেক্সের ধারাবাহিক পতন ১৭ বছরের রেকর্ড
মোদী সরকার আসার পরে বেশ চাঙ্গাই ছিল শেয়ার বাজার। শেয়ার বাজারের এই উর্ধ্বগামী অবস্থায় দেশের অর্থনীতি যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এমনই আশা করা গিয়েছিল।
মোদী সরকার আসার পরে বেশ চাঙ্গাই ছিল শেয়ার বাজার। শেয়ার বাজারের এই উর্ধ্বগামী অবস্থায় দেশের অর্থনীতি যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এমনই আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে স্বপ্ন পূরণ হল কই। জুন পেরিয়ে জুলাইয়ে পা রাখতেই প্রায় প্রতিদিনই ধস নামতে শুরু করে শেয়ার বাজারে। গোটা জুন মাস ধরে শুধু ধসের ধাক্কা সামলেছে সেনসেক্স। এক মাস ধরে সেনসেক্সের এই করুণ দশা গত ১৭ বছরে কখনও হয়নি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
২০০২ সালের পর আর দেখা যায়নি শেয়ার বাজারের এই ধারাবাহিক পতন। শেযার বাজারের এই দুরাবস্থায় নাকি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা জানিয়েছেন সেনসেক্সের এই পতন নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় কোম্পানিগুলির দুরাবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাঁদের দাবি আন্তর্জাতিক বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। সেকারণেই শেয়ার বাজারের এই সংকট তৈরি হয়েছে। অগস্ট মাসের এক তারিখেও ধস নেমেছে সেনসেক্সে। প্রায় ৭৫০ পয়েন্ট পড়েছে শেয়ারবাজার।
একদিকে যখন সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে রেকর্ড সংগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার তখন একের পর এক বাণিজ্য নীতির কারণে নাকি দেশিয় কোম্পানিগুলির শেয়ার পড়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। বাজেট পেশের পর থেকে নাকি সেই দূরাবস্থা আরও চরম আকার নিয়েছে। একই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে টাকার দাম। এতোই প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যনীতিতে একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের মত বিরোধ বিশ্ববাণিজ্যের বাজারে মন্দা তৈরি করেছে যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে। এমনই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।