সারদা, রোজভ্যালির কাণ্ডের পরও "ভুয়ো" সংস্থারও শীর্ষে এই রাজ্য
সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ডের পর এবার আর্থিক অনিয়মের কারণে তদন্তের সামনে পড়তে চলেছে রাজ্যের বহু সংস্থা। ভুয়ো সন্দেহে সারা দেশ ব্যাপী ৩৩১ টি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সেবির। যার মধ্যে ১২৭টি এই রাজ্যের
সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ডের পর এবার আর্থিক অনিয়মের কারণে তদন্তের সামনে পড়তে চলেছে রাজ্যের বহু সংস্থা।
ভুয়ো সন্দেহে সারা দেশ ব্যাপী ৩৩১ টি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সেবি। যার মধ্যে ১২৭ টিই পশ্চিমবঙ্গের। এই রাজ্যের পরেই ভুয়ো সংস্থার নিরিখে স্থান দিল্লি ও গুজরাতের।
শেল অর্থাৎ ভুয়ো কোম্পানির অর্থাৎ, খাতায়-কলমে অস্তিত্ব থাকলেও, বাস্তবে যাদের কোনও ব্যবসা নেই। অনেক সময় সাধারণ গরিব মানুষ, বাড়ির কর্মচারী কিংবা গাড়ির চালককে ডিরেক্টর বানিয়েও সংস্থা খোলা হয়।
৩৩১ টি সংস্থার শেয়ারের লেনদেনে রাশ টানতে সোমবার বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থাৎ সেবি। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবারই ১৬২ টি সংস্থার শেয়ার লেনদেনে রাশ টানা হয়। গ্রেডেড সার্ভিল্যান্স মেসারের আওতায় স্টেজ সিক্স-এ এই ৩৩১ টি সংস্থাকে ফেলেছে সেবি। এর অর্থ এইসব সংস্থার শেয়ার লেনদেন করা যাবে মাসে মাত্র একবার। অভিযুক্ত সংস্থাগুলির বেশির ভাগই অভিযোগ অস্বীকার করছে।
লোকসভায় বেশ কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন যে, কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা তৈরির 'সদর দফতর' হয়ে উঠেছে কলকাতা। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছিলেন, শুধু কর ফাঁকি দিতে খোলা হয়েছে, এমন ৩৭ হাজার ভুয়ো সংস্থাকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য নোট বাতিলের পর থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে এ ধরনের ৩ লক্ষ সংস্থার ওপর।