দেশের শীর্ষে থাকা ৩০ ঋণ খেলাপির বকেয়া অর্থ! আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য
দেশের শীর্ষে থাকা ৩০ জন ঋণখেলাপির বকেয়া অর্থের পরিমাণ অকর্মক্ষম সম্পদের এক তৃতীয়াংশ।
দেশের শীর্ষে থাকা ৩০ জন ঋণখেলাপির বকেয়া অর্থের পরিমাণ অকর্মক্ষম সম্পদের এক তৃতীয়াংশ। আরটিআই-এর মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া তথ্যের নিরিখে এমনটাই উঠে এসেছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের বানিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অকর্মক্ষম সম্পদের পরিমাণ ৯.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা।
সংবাদ সংস্থা দ্য অয়্যার আরবিআই-এর কাছে আরটিআই করেছিল। তাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জন ঋণখেলাপির ঋণের পরিমাণ ২.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা। তবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ওই ৩০ জনের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দ্য অয়্যারের তরফ থেকে ৩০ জন ঋণ খেলাপির তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তা তাদের দেওয়া হয়নি বলেই খবরে প্রকাশ।
২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত আরবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, ব্যাঙ্কগুলির বাৎসরিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট এবং তথ্য জানার অধিকার আইনে ঋণখেলাপিদের নাম জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশ না করাটা তাদের ২০১৫ সালের আদেশের পরিপন্থী।
হিসেব করলে দেখা যায়, প্রত্যেকের ধার রয়েছে ৯৫৪৪ কোটি টাকা করে। তুলনা করলে দেখা যায়, কিংফিশাল এয়ারলাইন্সের দেনা রয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি। আবার ব্যাঙ্কগুলি জেট এয়ারওয়েজের কাছে পায় ৮,৭০০ কোটি টাকা।
তথ্য জানার অধিকার আইনে আরবিআই জানিয়েছে, দেশের শীর্ষ ৩০ ব্যক্তি কিংবা সংস্থার ধার নেওয়া অর্থের পরিমাণ ৮.৪২ লক্ষ কোটি টাকা। তবে এই তথ্য ৩০ ঋণ খেলাপির থেকে আলাদা হতে পারে। একই ব্যক্তি এর মধ্যে আছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ধার নেওয়ায় শীর্ষে থাকা ৩০ অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ধার দেওয়া ১১.০৭ লক্ষ কোটির ৭৬ শতাংশ।