রাফালের আগে আম্বানীর চোখ ছিল কামোভ-এ, রিলায়েন্স ডিফেন্স প্রকাশ হল চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাফালে ফাইটার জেট নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে, অনিল অম্বানির রিলায়েন্স ডিফেন্স রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা বরাত পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিন-তিনটি বড় চুক্তি করতে তারা ব্যর্থ হয়।
রাফালে চুক্তি নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই জানা গেল ফ্রান্সেরও আগে অনিল আম্বানীর রিলায়েন্স ডিফেন্স প্রথমে চুক্তি করতে চেয়েছিল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘকালীন অংশীদার রাশিয়ার সঙ্গে। কিন্তু তিন তিনটি বড় মাপের বরাত পাওয়ার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়। কারণ রাশিয়ার পরিষ্কার নীতি হল পাবলিক সেক্টর ইউনিট ছাড়া তারা অন্য সংস্থাকে উৎপাদনের বরাত দেবে না।
২০১৫-র এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন অনিল আম্বানী। সেখানেই প্রথম আলোচনা হয়েছিল রাফালে চুক্তি নিয়ে। জানা গিয়েছে ওই বছরেরই ডিসেম্বরে মোদীর মস্কো সফরেও আম্বানী তাঁর সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিরক্ষা সংস্থার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি বড় বরাত বাগানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ওই সফরে রাশিয়ার সঙ্গে কামোভ কেএ-২২৬ লাইট হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতের ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই হেলিকপ্টার উৎপাদনের বরাত পেতে চেয়েছিলেন অনিল আম্বানী। এর পরের কয়েক মাস তারা রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনও চালায়।
রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছিল 'সরকারি অনুমোদন-প্রাপ্ত' নাহলে তারা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেবে না। আবার ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে মনোনিত করে না, সুপারিশও করে না। কাজেই রিলায়েন্স ডিফেন্স রাশিয়ার এই মাপকাঠিটি পূরণ করতে পারেনি।
রাশিয়া ঠিক করে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাকেই অংশীদার করবে। শেষ পর্যন্ত কামোভ হেলিকপ্টারের সেই বরাত আসে হিন্দুস্থান এরোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল-এর হাতে। এর আগে সুখোই বিমানের ক্ষেত্রেও উৎপাদনের বরাত তারা দিয়েছিল হ্যালকেই। কাজেই হ্যাল তাদের অনেকদিনের সঙ্গীও বটে। তা নাহলে হয়তো রাফালে বিমানের মতো কামোভ হেলিকপ্টার নিয়েও উত্তপ্ত হত ভারতীয় রাজনীতি।